নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা ও শিশু-সহ মোট ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়।

Must read

গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকেই তারপর ট্রেন ধরতে পারেননি। তাই দিল্লি হাই কোর্টে টাকা ফেরত চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন উচ্চ আদালত (Delhi Highcourt) সেই দাবি খারিজ করে দিল। বুধবার উচ্চ আদালতে আবেদনকারীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন পদপিষ্টের ঘটনার পর যাত্রীরা টিকিটের টাকা ফেরত চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল তবে সেই অনুরোধ গ্রহণ করা হয়নি। এরপরেই হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত ভাবে আইনি সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলাদা করে আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের কিছু করণীয় নেই।

আরও পড়ুন-তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকদের খোঁজে এবার পুলিশের বিশেষ কুকুর

১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভমেলার পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা ও শিশু-সহ মোট ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেদিনের ঘটনায় আইনজীবী আদিত্য ত্রিবেদী দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। নয়াদিল্লির ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থা, চরম অবহেলা এবং প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। ১৯ ফেব্রুয়ারি রেলের কাছে ট্রেনপ্রতি সর্বোচ্চ যাত্রীসংখ্যা নির্ধারণ, প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি-সহ জনস্বার্থ মামলায় উত্থাপিত প্রসঙ্গ তদন্ত করে হলফনামা দাবি করেছে আদালত। এই ঘটনার পরে ভিড় এবং যাত্রী-ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইনি বিধানের বাস্তবায়ন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। যারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তবে ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন তার সঙ্গে মূল ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। বেঞ্চ মনে করছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিলে মূল মামলার প্রতি অন্যায় করা হবে। আবেদনকারীদের তাঁদের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

Latest article