প্রতিবেদন: ওড়িশা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল সে-রাজ্যের বিজেপি সরকার। আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও বালেশ্বরের একটি কমিউনিটি হল বুলডজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য গেরুয়া সরকারকে ব্যাপক ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। সরকারকে ৮২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল আদালত। শুধু তাই নয়, যে আধিকারিকের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে সেই তহশিলদারের বেতন থেকে ২ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের প্রশ্ন, আদালত যেখানে সরকারের ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সেখানে বুলডজার চালিয়ে ওই ভবন ভেঙে দেওয়ার সাহস পেল কোথা থেকে ওড়িশা সরকার?
আরও পড়ুন-ঘরে বসে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট, খুশি প্রবীণরা
জানা গিয়েছে, বালেশ্বরের একটি গোচারণভূমিতে ১৯৮৫ সাল থেকে একটি কমিউনিটি হল ছিল। ১৯৯৯-এর মহাঘূর্ণিঝড়ের পরে কমিউনিটি হলটি মেরামত করে ব্যবহারযোগ্য করা হয়। কিন্তু সরকার বদলের পরে গোচারণ জমিকে বাস্তুজমিতে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু তা অমান্য করে ওই কমিউনিটি হলে বুলডজার চালায় গেরুয়া সরকার। স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়য় আদালত। হাইকোর্টের বক্তব্য, এই ভবন ভাঙার সপক্ষে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখানো হয়নি। এরপরেই জরিমানার নির্দেশ। স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো ধাক্কা খেল বিজেপির বুলডোজ নীতি।