সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে জৌলুসের সময়। কিন্তু থেকে গিয়েছে ইতিহাস। তাই অযোধ্যা পাহাড়তলির দেউলঘাটার দুর্গা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। এবার পুজোয় পাহাড়ে আসা পর্যটকরা ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিচ্ছেন এই পুজোর বিষয়ে। তবে একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঐতিহ্যের গন্ধমাখা এই পুজোয় কোনও আড়ম্বর থাকে না। পুরুলিয়ার আড়ষা ও জয়পুর ব্লকের সীমানায় কংসাবতী নদীর তীরে অবস্থিত দেউলঘাটা। গবেষকরা বলেন, এখানে যে দুটি পোড়ামাটির ইটের তৈরি মন্দির এখনও টিকে আছে, সেগুলি দেশের পোড়ামাটির মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতম। তারই একটির পাশে রয়েছে একটিমাত্র কালো কষ্টিপাথরে খোদিত দুর্গা। একসঙ্গে এক পাথরে দুর্গা, মহিষাসুর, সিংহ ও মহিষ খোদিত।
আরও পড়ুন-আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বে খনিশ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জয়
তবে নেই লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ। গবেষকরা বলেন, মূর্তিটি সপ্তম শতকের। এই মূর্তি ও মন্দিরগুলি ঘিরে পর্যটকদের সব সময়, বিশেষত ফি বছর পুজোর সময় আগ্রহ দেখা যায়। এই পুরাক্ষেত্রে থাকেন সাধিকা তনুশ্রী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই মন্দিরক্ষেত্রের কিছু পৃষ্টপোষক আছেন। তাঁদের উৎসাহে দেবীর নিত্যপূজা এবং শারদীয়া পুজো হয়। বহু পর্যটক আসেন পুজো দেখতে। মন্দিরের অন্যতম পূজারি সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই প্রাচীন পুজোটি দেখতে পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা প্রায় সকলেই চলে আসেন। গাছের ছায়ায়, নদী তীরের এই পুজো তাঁদের অভিভূত করে। পাহাড়ে পুজোর সময় বেড়াতে আসছেন এমন অনেক পর্যটকের মতে, তাঁরা আদিবাসী গ্রামের পুজো এবং দেউলঘাটার পুজো দুটিই দেখবেন। এই পুজো অনেককেই বারবার পাহাড়ে টেনে আনে বলে জানান তাঁরা।