কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: আজও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার হিলোরা এবং তার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ দোলের (Dol) দিন আবির ও রং খেলেন না। দোলপূর্ণিমার পাঁচদিন পরে গ্রামের কুলদেবতা শ্যামচাঁদ দেবের পায়ে আবির দিয়ে ‘পঞ্চম দোল’ খেলেন। সেই প্রাচীন রীতি মেনে রবিবার রঙের উৎসবে মাতলেন গ্রামবাসী। লোকগাথা অনুযায়ী প্রায় আড়াইশো বছর আগে সুতির বাজিতপুর গ্রামে একটি মন্দিরে অধিষ্ঠান করতেন শ্যামচাঁদ দেব। একই মন্দিরে ছিল অপর তিন ভাই সর্বেশ্বর, বলরাম ও মদনমোহনের বিগ্রহ। শ্যামচাঁদ এক ভক্তকে স্বপ্নে জানান, তিনি বাজিতপুরের মন্দিরে থাকতে চান না। হিলোরা গ্রামে যেন তাঁর মন্দির গড়া হয়। সেই স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী ১১৬৮–তে হিলোরা গ্রামে গড়ে ওঠে মন্দির। মন্দির কমিটির সদস্য তপন ঘোষ বলেন, অগ্রহায়ণ মাসের নবান্নের পরের দিন থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের সংক্রান্তির একদিন আগে পর্যন্ত শ্যামচাঁদ ভক্তদের বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় কাটান। পঞ্চম দোলের আগের দিন তাঁকে মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। উৎসব শেষ হওয়ার তিনদিন পর শ্যামচাঁদ আবারও কোনও এক ভক্তের বাড়িতে গিয়ে কিছুদিন অধিষ্ঠান করবেন। বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ হিলোরায় এসেছেন। দুপুরে ভক্তদের জন্য খিচুড়িভোগ হয়েছে। সন্ধেবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বিপন্ন ভারতীয় গণতন্ত্র, বিপন্ন সাংবিধানিক কাঠামো