ইন্ডিয়া বনাম এনডিএ, এই লড়াইটা মতাদর্শের। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আর সেই মতাদর্শগত পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠল শুক্রবার। নিজেদের ‘মতাদর্শ’ তুলে ধরে এদিন বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন, ‘শূদ্র জাতির কাজই হল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যদের সেবা করা।’ স্বাভাবিকভাবেই হিমন্তের মন্তব্যে বিতর্ক চরম আকার ধারন করে। চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে সেই টুইট মুছে ফেললেন ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়’। তবে টুইট মুছলেও বিজেপি নেতাদের মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে গেল আরও একবার।
আসলে রোজ নিয়ম করে সোশাল মিডিয়ায় ভগবত গীতা থেকে একটি করে শ্লোক সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই সঙ্গে পোস্ট করেন সেই শ্লোকের অসমীয়া তর্জমাও। সম্প্রতি গীতার ১৮তম অধ্যায় থেকে ৪৪ নম্বর শ্লোকটি পোস্ট করেছিলেন হিমন্ত। তবে গীতার সেই শ্লোকের অর্থ রীতিমতো বিকৃত করেন হিমন্ত। ওই শ্লোকের মানে হিসাবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “বৈশ্যদের কাজ চাষবাস করা, গোসেবা করা এবং ব্যবসা করা। আর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যদের সেবা করায় শূদ্রদের পবিত্র কর্তব্য।” এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধী শিবির। বিজেপির মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- মানবিক মুখ্যমন্ত্রী গড়ে দিচ্ছেন গ্রাম, সকলে একসঙ্গেই থাকবেন
প্রবল চাপের মুখে পড়ে পোস্ট ডিলিট করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর দাবি, ওই পোস্টটি তিনি নিজে করেননি। করেছেন তাঁর সোশাল মিডিয়া টিমের একজন। ভুল বুঝতে পারা মাত্রই পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে। হিমন্ত বলেন, “আমি এ পর্যন্ত ৬৬৮টি শ্লোক পোস্ট করেছি। এই ধরনের ভুল প্রথম। দেখা মাত্রই সেটা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” তবে টুইট মুছলেও বিতর্ক মিটছে না কিছুতেই। হিমন্তের এহেন পোস্ট প্রসঙ্গে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “সাংবিধানিক পদে থেকেও এই ধরনের পোস্ট। এতে বোঝা যায়, এদের মানসিকতা কী ধরনের।”