প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি সরকারের কর্মসূচিগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সমালোচনা করা। কথায় কথায় নেহরুকে কটাক্ষ করা এবং তাঁর যাবতীয় কৃতিত্বকে অস্বীকার করাকেই বড় কাজ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপি। কিন্তু নেহরুর কাজ ও পরিকল্পনাকে কোনওভাবেই তাঁরা অস্বীকার করতে পারছেন না। তাই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেও ফিরছে নেহরুর হাতে তুলে দেওয়া সেই সেঙ্গোল (sengol- Parliament)। যা এতদিন রাখা ছিল প্রয়াগরাজের রাষ্ট্রীয় জাদুঘরে। চোল রাজবংশের রীতি ছিল নতুন রাজার হাতে সেঙ্গোল তুলে দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। ব্রিটিশের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই প্রাচীন ভারতীয় রীতি ফেরানো যেতে পারে বলে নেহরুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন জেনারেল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী। রাজা গোপালাচারীর সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন নেহরু। দেশের তৎকালীন নেতৃবৃন্দও সহমত পোষণ করেছিলেন। এর পরই তামিলনাড়ুর একটি মঠে থাকা সেঙ্গোলের আদলে নতুন একটি রাজদণ্ড বা সেঙ্গোল তৈরি করেছিল তৎকালীন মাদ্রাজের এক নামজাদা অলঙ্কার নির্মাতা সংস্থা। পরে সেই সেঙ্গোলটি বিশেষ বিমানে তামিলনাড়ু থেকে দিল্লি আনা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেঙ্গোলটি প্রয়াগরাজের রাষ্ট্রীয় জাদুঘরে রাখা ছিল। রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে ওই সেঙ্গোলটি স্থাপন করবেন মোদি। লোকসভায় স্পিকারের আসনের পাশেই সেঙ্গোলটি রাখা থাকবে। সেঙ্গোল (sengol- Parliament) শব্দটির উৎপত্তি তামিল সেম্মাই শব্দ থেকে। তামিল শব্দ সেম্মাই-এর অর্থ হল ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায়শাসন, স্বাধীনতা ইত্যাদি। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজের জাদুঘর থেকে ওই সেঙ্গোলটি দিল্লি আনা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ওই সেঙ্গোল অর্থাৎ রাজদণ্ডটি প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ছিল ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক। তার পর থেকে সেঙ্গোলটি রাখা ছিল জাদুঘরে।
আরও পড়ুন- তথ্যপ্রযুক্তিতে ১ বছরে ভারতে কর্মচ্যুত ৬০ হাজার কর্মী