বাংলার সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ। স্যোশাল মিডিয়ায় এই খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার, তিনি লেখেন, “এটা আপনাদের জানাতে পেরে আনন্দিত, গতকাল আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আোচনার পরে আমেরিকার মাননীয় রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছেন, সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে আমাদের রাজ্যে বিশাল মাপের মার্কিন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুর্দান্ত খবরটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।“
আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) জানান, রাজ্য সরকারের নিরলস পরিশ্রমের ফলে সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। রবিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে একটি গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার দ্রুত স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয় ভারতের প্রধানমনন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই ডায়মন্ড হারবারবাসীর ঘরে ঘরে অভিষেকের ‘উৎসবের উপহার’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত বছরের শুরু থেকে রাজ্য আইটি বিভাগ এবং ওয়েবেলের অধীন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। অনেক চিপ-ডিজাইনিং এবং প্যাকেজিং স্টার্টআপ কোভিড অতিমারির পরে বিভিন্ন ওয়েবেল আইটি পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ, সিনপসিস, মাইক্রোন এবং আরও কয়েকটি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছে। তারা নতুন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যের ইউনিট এবং অফিস পরিদর্শন করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই বছর কলকাতায় অনুষ্ঠিত রাজ্য সরকারের গ্লোবাল ভিএলএসআই সম্মেলন ২০২৪-এ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সমস্ত শীর্ষস্থানে থাকা সংস্থার যোগদানই তার প্রমাণ। সেই কারণে রাজ্যের ক্ষমতার সফল প্রচারের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনার ফলে কলকাতায় একটি গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার স্থাপনের জন্য গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে। তিনি জানান, “আমি এই সেক্টরে নতুন বিনিয়োগে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ জ্ঞান-ভিত্তিক শিল্পের প্রকৃত গন্তব্য হয়ে উঠুক।“