সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা:বেলা ১২টা ৩৫ নাগাদ যখন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে হাঁটা শুরু করলেন, ততক্ষণে আগরতলার রাজপথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত মিছিলে পা মেলাতে। সমানে চলছে স্লোগান। প্রবল উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হল পদযাত্রা। একঝলকে জনজোয়ার ও আশপাশের পরিবেশ দেখে প্রায়ই গুলিয়ে যাচ্ছিল এটা কলকাতার রাজপথ নাকি সত্যিই আগরতলায় আছি।
আরও পড়ুন-আদানি বাঁচাও অভিযান শুরু আরএসএস-এর
পদযাত্রায় যেমন বিপুল সংখ্যক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন, তেমনই রাস্তার দু’ধারে উৎসুক মানুষের ঢল। জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে এগিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব, পীযূষ বিশ্বাসরা। আর চলেছে জনজোয়ার। ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এদিনের পদযাত্রা বুঝিয়ে দিল ত্রিপুরাতেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল জনপ্রিয়তা। তৃণমূল কংগ্রেসের পদযাত্রা রাজবাড়ির সামনে দিয়ে জ্যাকসন গেট থেকে কামান চৌমুহনি- পোস্ট চৌমুহনি- প্যারাডাইস চৌমুহনি, বটতলা- ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনি, খের চৌমুহনি, বিদুরকাতা চৌমুহনি ও আরএমএস চৌমুহনি হয়ে আবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ফিরে আসা। ৫ কিলোমিটার এই পদযাত্রা শেষে সেখানেই জনসভা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একঝলক দেখতে দীর্ঘক্ষণ রোদ মাথায় দাঁড়িয়ে থেকেছেন উৎসাহী জনতা। বিজেপির অত্যাচার ও বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলকেই যে ত্রিপুরার মানুষ বিকল্প শক্তি হিসেবে ভাবছে তা বুঝিয়ে দিল এদিনের ভিড়।
আরও পড়ুন-এলআইসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, আদানি ইস্যুতে প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যেই ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ১০ অঙ্গীকার-এর ঘোষণা করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে। ক্ষমতায় এলে বাংলার ধাঁচে প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইস্তাহারে। যদিও একে প্রতিশ্রুতি না বলে, প্রতিজ্ঞা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ত্রিপুরার মানুষ যে সেই অঙ্গীকারে ভরসা রাখছেন, সেই ভরসাই যেন দিচ্ছে এদিন পদযাত্রা।