শান্তনু বেরা , কাঁথি : ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’-র বিখ্যাত সংলাপ। সেই কপালকুণ্ডলাখ্যাত কালীমন্দির এখনও রয়েছে কাঁথি ২ দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরে। ১৮৬০ সালের ২১ জানুয়ারি বঙ্কিমচন্দ্র কাঁথি মহকুমার ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের স্বার্থে নিয়মিত গ্রামসভার বৈঠক
১০ মাসের চাকরি জীবনে এখানেই কপালকুণ্ডলা রচনা করেন। ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত হয় সেটি। রসুলপুর নদীর তীরে সেই বিখ্যাত কালীমন্দির ও বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত বাংলো, নাট্যমঞ্চ, বিভিন্ন ফলক ও নিদর্শ আজও রয়েছে। এই মন্দিরেই নবকুমার-কপালকুণ্ডলা প্রেম। বছর আটেক আগে মন্দিরটিকে নতুন করে গড়ে তোলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ৪০ লক্ষ টাকায় মন্দির সংস্কার করেছে। এক মতে, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন কিশোরনগর গড় রাজবাড়ির রাজা যাদবরাম রায়। কারও মতে, রাজা শুধু মন্দির সংস্কার করেছিলেন। এখন মন্দিরে বিগ্রহ নেই। স্থানীয়দের দাবি, সংস্কারের সময়ে একটি দেবীমূর্তি মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল। শ্রমিকরা নিয়ে চলে যায়। আজও বহু মানুষ, বিশেষত কালীপুজোর সময় এখানে আসেন। গ্রামবাসীরা মন্দিরের কাছেই নির্মাণ করেছে এক ছোট্ট মন্দির। তার নাম কপালকুণ্ডলার নতুন মন্দির। বংশপরম্পরায় এক পরিবার পুরাতন মন্দিরের দায়িত্বে