প্রতিবেদন : ১৮৬১ সালের ২২ নভেম্বর। ৪ দিন আগেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ভারতের প্রথম ভাইসরয়-পত্নী তথা ভারতের প্রথম ভাইসেরিন চার্লট ক্যানিং। শোকাতুর স্বামী তাঁর প্রিয়তমাকে কীভাবে কোথায় সমাহিত করা হয়েছে, তা লিখে পাঠাচ্ছেন রানি ভিক্টোরিয়াকে। কারণ, সুন্দরী লেডি ক্যানিংকে ভীষণ স্নেহ করতেন রানি ভিক্টোরিয়া। চিঠিতে লর্ড ক্যানিং লিখেছেন, ‘রানির নিকটতম সহচরী (এঁদের বলা হত Lady of the Bedchamber to Queen Victoria)-কে কলকাতার কাছেই সুন্দর একটি বাগানে সমাহিত করা হয়েছে। জায়গাটির নাম বারাকপুর।’
হ্যাঁ। এই সেই বারাকপুর লাটবাগান, যা আজ গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের নজরদারিতে, রাজ্য পুলিশের সুচারু দক্ষতায় ও পূর্ত দফতরের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ব্রিটিশ স্থাপত্য ফিরে পাচ্ছে। ওল্ড গভর্নর জেনারেল হাউস থেকে লেডি ক্যানিং-এর সমাধির অবিকল অনুকৃতি (আসল সমাধি পরে নিয়ে আসা হয় সেন্ট জনস চার্চ, কলকাতায়) কিংবা মোতিঝিলের ওপর লেডি হার্ডিঞ্জ সেতু থেকে মিন্টো ফোয়ারা, হনিমুন লজ থেকে বিখ্যাত বটবৃক্ষ, ইডেন স্কুল থেকে লেডি ক্যানিং-এর টেরেস কিংবা লোটাস ফাউন্টেন— ব্রিটিশ স্টাইল ফিরিয়ে দেওয়ার নীরব সংস্কার হয়ে চলেছে বারাকপুরের এই বিস্তীর্ণ এলাকায়। যা স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্য পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজও বটে। এখানের বর্তমান পুলিশ অ্যাকাডেমির নাম হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমি। দীর্ঘদিন ধরে রেনেসাঁস ও ব্রিটিশ স্থাপত্যের নিদর্শন থাকা পুরাতন গভর্নর জেনারেলের বাংলোটি সংস্কারের অভাবে ধুলোয় ঢাকা পড়েছিল, যা বর্তমানে হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং দ্রুত সংস্কার চলেছে।
বিশ্ব হেরিটেজ সপ্তাহে এ-বছর, ২১ নভেম্বর, সেখানেই ঘুরে এলেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিরা।
ভারতের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট
বারাকপুর নামটি কীভাবে এল, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। আগে এর নাম ছিল চানক মৌজা। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা এখান থেকে জলপথে বাণিজ্যের জন্য বেরিয়ে পড়তেন। পরবর্তীকালে ১৯০৭ সালে চানক মৌজা তার নাম পরিবর্তন করে ভারতের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। নাম হয়েছে বারাকের শহর অর্থাৎ বারাকপুর। শুধু বারাক নয়, ব্রিটিশ অফিসারদের বাংলো, প্যারেড গ্রাউন্ড, সদর বাজার, অর্ডালি বাজার— সবই গড়ে উঠেছিল লাটবাগানের এই ২২০ বিঘে জমিতে। পরবর্তীকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কমান্ডার ইন চিফ তৈরি করলেন বারাকপুর পার্ক।
১৮০১। তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি এই পার্কেই প্রথম তৈরি করেন গভর্নর জেনারেলদের গ্রীষ্মাবকাশ কাটানোর রিসর্ট। কিন্তু তৎকালীন ব্রিটেনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এই রিসর্ট তৈরির জন্য শাস্তিস্বরূপ তাঁকে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করতে হয়। দেশে ফেরার আগে অস্থায়ী যে কাঠামোটি তিনি তৈরি করেছিলেন, সেটিই পরে হয় গভর্নর জেনারেলের স্থায়ী ঠিকানা। ব্রিটিশ স্টাইলে উদ্যান, ইটের তৈরি সাঁকো-সহ মোতিঝিল, ৩৬টি ঘোড়া রাখার আস্তাবল এবং কলকাতা-বারাকপুর সংযোগকারী বারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড— সমস্তই তাঁর আমলে করে যাওয়া
আরও পড়ুন : ঝড় ঠেকাতে সাগরে ম্যানগ্রোভ রোপণ শুরু
পরবর্তীকালে লর্ড মিন্টো তৈরি করলেন যুদ্ধে প্রয়াত সেনানীদের জন্য স্মৃতিসৌধ। হেস্টিংস সাহেব আগ্রা থেকে নিয়ে এলেন লোটাস ফাউন্টেন। লেডি ক্যানিং তৈরি করলেন তাঁর নিজস্ব টেরেস। লর্ড অকল্যান্ড ও তাঁর বোনেরা ১৮৩৬ সালে পার্কের কোনায় তৈরি করলেন ইডেন স্কুল। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ এবং মঙ্গল পাণ্ডের নামের সঙ্গে তো বারাকপুরের নাম জড়িত আজও। পরবর্তীকালে লর্ড মিন্টোর সময় এই বারাকপুরের হাউস সুনামের শিখরে উঠলেও ১৯১২ সালে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়ায় লাটবাগানের ওল্ড গভর্নর হাউসের ইতিহাসে ধুলোর স্তর জমতে থাকে।
ঐতিহ্য সপ্তাহে ঐতিহ্যের বার্তা
বিশ্ব ঐতিহ্য সপ্তাহ সামনে রেখে বারাকপুরে এক ঐতিহ্য যাত্রার আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন (১৯-২৫ নভেম্বর)। সেই উপলক্ষে একটি বর্ণময় পদযাত্রা মিলিত হয় রবীন্দ্রসদন চত্বরে। সেখান থেকে ভলভো বাসে বারাকপুর লাটবাগান। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন, সচিব উমাপদ চ্যাটার্জি ফ্রান্স-জাপান-ব্রিটেন- বাংলাদেশ- ডেনমার্ক- এর কনসাল জেনারেল বা ডেপুটি হাইকমিশনার, আমন্ত্রিত সদস্য রূপা মজুমদার, জুন মালিয়া, উদ্যোগপতি হর্ষ নেওটিয়া, শ্রীরামপুর-ড্যানিশ ইনিশিয়েটিভের প্রোজেক্ট হেড, পুরনো কলকাতার গল্প-গ্রুপের কয়েকজন সদস্য প্রমুখ। রাজ্য পুলিশ এবং হেরিটেজ কমিশনের পক্ষে উষ্ণ সংবর্ধনার পর, প্রায় সারাদিন লাটবাগানের বিভিন্ন ইতিহাস উল্টেপাল্টে দেখেন প্রতিনিধিরা। শুভাপ্রসন্ন বারবার বলছিলেন, অর্থ আমরা দিয়েছি। কিন্তু যে পরম মমতায় রাজ্য পুলিশের প্রত্যেক আধিকারিক থেকে নিচুতলার কর্মীরা এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে তিল তিল করে ব্রিটিশ আমলের সেই ইতিহাসের পাতায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন, অতুলনীয়। আর এর সমগ্র ভাবনার নেপথ্যে কলকাতার বর্তমান নগরপাল সৌমেন মিত্র, যিনি ২০১২ সালে রাজ্য পুলিশের এডিজি (ট্রেনিং) এবং একই সঙ্গে লাটবাগান পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন (বর্তমান নাম স্বামী বিবেকানন্দ স্টেট পুলিশ অ্যাকাডেমি, বারাকপুর)। শুভাপ্রসন্ন জানান, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত কলকাতার বর্তমান নগরপাল রাজ্য সরকারকে এই স্থানটির ইতিহাসের কথা তুলে ধরে, অর্থ আদায় করে, পুনঃসংস্করণের কাজে নেপথ্যে সাহায্য করে চলেছেন। সরকার যখনই এর ইতিহাস-মাহাত্ম্য বুঝতে পেরেছে, অর্থ সংকুলানে সমস্যা হয়নি।
রাজ্য পুলিশের আইজি (স্বামী বিবেকানন্দ রাজ্য পুলিশ অ্যাকাডেমি) দেবাশিস দাস জানালেন, পর্যটন দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে নিয়ন্ত্রিতভাবে পর্যটকদের আনার এবং গোটা এলাকার ইতিহাস জানানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত পর্যটন, কারণ এখানে পুলিসের গুলিছোড়ার ট্রেনিং চলে অনেক সময়। তা ছাড়া, পুলিসের ট্রেনিং, প্রশাসনিক কাজ চলে।
নান্দনিক ১৩ মূর্তি
রাজ্যপাল যখন বারাকপুরের লাটবাগান আসেন, তখন এই বাড়িতেই ওঠেন। পোশাকি নাম ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস অফ বারাকপুর। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে ১৯ শতকে তৈরি হওয়া এই বাড়িতেই এক সময় থাকতেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেলদের ব্যক্তিগত সচিবরা। সামনে সবুজ-সুন্দর ঘাসের গালিচায় মোড়া বাগান-সহ বিরাট এক ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের একদিকে রয়েছে ব্রিটেন ও ভারতের সেই সময়ের ১৩ জন রাজা বা গভর্নর জেনারেল বা ব্রিটিশ অফিসাদের ব্রোঞ্জ ও পাথরের মূর্তি। অন্যদিকে, সেসময় মরিশাস, জাভা ও গ্বালিয়রের যুদ্ধে যে-সমস্ত ইমপিরিয়াল অফিসার মারা গিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতিসৌধ হিসেবে সুন্দর একটি নিও-ক্ল্যাসিকাল স্থাপত্যও শোভা পাচ্ছে।
এখানে যে ১৩টি মূর্তি রয়েছে, একসময় এগুলোর মধ্যে অনেকগুলিই বসানো ছিল তিলোত্তমার নানা প্রান্তে। কালের নিয়মে এদের ঠাঁই হয়েছে বারাকপুরে। অদ্ভুত সুন্দর এক নান্দনিকতা। হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন জানালেন, কলকাতার ইকো পার্কে এগুলি সুন্দর করে বসিয়ে রাখার একটা ভাবনা রয়েছে।
এই মূর্তিগুলি হল— ১. রাজা পঞ্চম জর্জ। ২. ক্যাপ্টেন স্যার উইলিয়ম পিল। ৩. রবার্ট কর্নেলিয়াস নেপিয়ের, ফার্স্ট ব্যারন নেপিয়ের অফ ম্যাগডালা। ৪. গভর্নর জেনারেল চার্লস জন ভিসকাউন্টি এবং আর্ল অফ ক্যানিং। ৫. ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল জন লরেন্স। ৬. গভর্নর জেনারেল রিচার্ড সাউথওয়েল। ৭. ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক। ৮. গভর্নর জেনারেল ৫ম মার্কুইস অফ ল্যান্সডাউন। ৯. ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন। ১০. লেফটেন্যান্ট গভর্নর অফ বেঙ্গল স্যার জন উডবার্ন। ১১. ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল লর্ড মিন্টো। ১২. সেক্রেটারি অফ স্টেট ফার ইন্ডিয়া এডুইন মন্টেগু। ১৩. বাংলার গভর্নর আর্ল অব রোনাল্ডসে।
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে কেন্দ্রের কৃষকবঞ্চনা, বিজেপির গুন্ডামি জমি অধিগ্রহণে বঞ্চনার অভিযোগ
জীববৈচিত্রের সমাহার
সম্পূর্ণ ব্রিটিশ স্টাইলে লাটবাগানের যে বাংলো আজ দাঁড়িয়ে রয়েছে, কয়েক বছর আগেও এত ঝকঝকে নান্দনিক ছিল না। বলা চলে, ১৯২২-’২৩ সালের পর থেকেই দেখাশোনার অভাবে চারপাশ বড় গাছপালা, জঙ্গলে ভরে যায়। রয়েছে একটি সুন্দর ঝিল ও তার ওপর ইটের ছোট সেতু। ফলে এখানে নানা প্রাণী, উদ্ভিদ এবং কীট-পতঙ্গেরও দেখা মিলবে। মানুষ-প্রাণীর সহাবস্থান, অর্থাৎ কেউ কাউকে বিরক্ত করে না। রয়েছে প্রাচীন বটবৃক্ষ, যার বয়স সম্ভবত বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছটির থেকেও বেশি। গাছের যে অংশগুলি নষ্ট হয়ে গেছে, সেই কাঠকেও নষ্ট না করে সুন্দর রেপ্লিকা/মডেল তৈরি করে রেখেছেন পুলিশ কর্মী-অফিসাররা। অন্তত ৩৬-৪০ ধরনের পাখির দেখা মেলে এখানে যার মধ্যে নানা ধরনের মাছরাঙা, পানকৌড়ি, বক, সারস, কাঠঠোকরা, পায়রা, টিয়া, কোয়েল, তিতির, বুলবুল, বসন্তকৌরি প্রভৃতির সংখ্যা প্রচুর। শুভাপ্রসন্ন জানান, এদিন একটি ময়াল সাপেরও দেখা মিলেছে। এখানে পাওয়া প্রাণী-উদ্ভিদ-পাখি— এই তিন ধরনের জীববৈচিত্র নিয়ে এদিন তিনটি ছোট পুস্তিকাও তাঁদের হাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় বলে শুভাপ্রসন্ন জানান।
মিউজিয়ামে নথির সমাহার
পুরনো গভর্নর জেনারেলের বাংলোর বেসমেন্টটি সংস্কার করে হয়েছে একটি মিউজিয়াম। সেখানে সেই সময়ের নানা নথির সঙ্গে ব্রিটিশদের বহু পুরনো ব্যবহৃত অস্ত্র সংরক্ষিত রয়েছে। রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রকাশিত বহু সংবাদপত্রের কাটিং— যার মধ্যে নেতাজি-হিটলার সাক্ষাতের রিপোর্টিংও খুঁজে পাওয়া যাবে। শুভাপ্রসন্ন জানান, পুরো বাড়িটিই হবে পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়াম এবং ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রিতভাবে সর্বসাধারণের দেখার ব্যবস্থা করা হবে। গোটা চত্বরের নানা স্থানে ব্রিটিশদের ব্যবহৃত যে অস্ত্র-শস্ত্র রয়েছে, সেগুলি মিউজিয়ামে এনে রাখা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুলিশ ও পূর্ত দফতর
আইজি দেবাশিস দাস–এর কথায় বারবার উঠে আসছিল কলকাতার বর্তমান নগরপাল সৌমেন মিত্রের ব্যক্তিগত উদ্যোগের কথা। তিনি জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি অমিতাভ কারকুন, রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে চিঠি লেখেন ধুলোয় ঢেকে যাওয়া এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে। এতেই ফল হয়। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন, পূর্ত দফতরকে অর্থ বরাদ্দ করে কাজ শুরু করতে বলে। মধ্যিখানে কাজের গতি একটু থমকে গেলেও পুলিশ অ্যাকাডেমির দায়িত্বে আসা তৎকালীন এডিজি সৌমেন মিত্র, সরকারি তরফে অনেক উদ্যোগ নিয়ে মিউজিয়ামটির সূচনা করেন। বর্তমানে তিনিও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
দেবাশিসবাবু জানান, গঙ্গাতীরের সুন্দর এই বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল, এএসআই, এসআই, ইন্সপেক্টর থেকে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারদের ট্রেনিং হয়। রয়েছে ডগ স্কোয়াড। এ ছাড়া উওমেন ও চাইল্ড ট্র্যাকিং, সাইবার ক্রাইম, ই-অফিস ইত্যাদির ট্রেনিং হয়। পুলিশ সার্ভিস ছাড়াও যাঁরা রাজ্য রেভিনিউ সার্ভিসে রয়েছেন, তাঁদেরও ট্রেনিং হয় এখানে। হেরিটেজের পুরো বিষয়টিই দেখাশোনা এবং পুরনো স্থাপত্য ফিরিয়ে আনার কাজ করছে পূর্ত দফতর।
শুভাপ্রসন্ন জানালেন, ঐতিহাসিক স্থাপত্যের স্বীকৃতি পাওয়া বাড়িটি দ্রুত সংস্কার শেষ করে মানুষের সামনে তুলে ধরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।