প্রতিবেদন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রাজ্য সরকার আলিপুর জেলে তৈরি বিশেষ সংগ্রহশালা ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স মিউজিয়াম’ রাজ্যবাসীকে উপহার দিতে চলেছে। ওই সংগ্রহশালা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সোমবার স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করতে পারেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। আলিপুর সংশোধনাগারকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়িকারা
আন্দামানের সেলুলার জেলের মতো এখানেও লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো চালু হবে। এই কারাগারে বন্দি থেকেছেন জওহরলাল নেহরু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস থেকে শুরু করে বিধানচন্দ্র রায়ের মতো বিশিষ্টরা। তাঁরা জেলের যে সব কুঠুরিতে থাকতেন, সেগুলিকে আগেই হেরিটেজ ঘোষণা করে মূর্তি এবং স্মৃতিফলক বসিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে তাঁদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের অবদান তুলে ধরা হবে। প্রায় ৪০ মিনিটের এই শো শোনা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে।
আরও পড়ুন-গান নয়, অরিজিৎ সিং এবার ইংরেজি মাস্টার
ভাষ্যপাঠে থাকছেন খ্যাতনামা কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার। ব্যবহার করা হয়েছে নানা রকম এলইডি লাইট। থাকবে লেজার লাইট, ডিমার, লেজার হাউজিং প্রোটেকশন কভার। সাউন্ডে ব্যবহার করা হবে মিক্সার অডিও ও ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর। মিউজিয়াম চালু হলেই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-ও শুরু হবে। আলিপুর জেলের ফাঁসিকাঠে মৃত্যুবরণ করেছিলেন দীনেশ গুপ্ত, প্রমোদরঞ্জন চৌধুরী, দীনেশ মজুমদারের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী। সেই ফাঁসির মঞ্চটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। এখানে যে ওয়াচটাওয়ার ছিল, সেটিকেও মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে বাহারি আলো। মিউজিয়াম উদ্বোধনের দিন বন্ধ আলিপুর সংশোধনাগারের দেওয়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাবনা মাথায় রেখে ছবি আঁকবেন শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরি-সহ ১০ জন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী। মুখ্যমন্ত্রীও তাতে অংশ নেবেন।