প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্যজুড়ে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল “খেলা হবে” স্লোগান। এই একটি স্লোগানেই বাজিমাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।
শাসক দল তৃণমূলের সেই স্লোগান এখনও আট থেকে আশি, সকলের মুখে মুখে ফেরে। শুধু রাজ্য নয়, ভিন রাজ্যেও এখন জনপ্রিয় “খেলা হবে” স্লোগান!
এবার পুজোতেও সুপার হিট সেই “খেলা হবে”। স্লোগান থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপে এখন থিম “খেলা হবে”! যার টানে ওই মণ্ডপগুলি দর্শকদের আকর্ষণ করছে। কলকাতায় ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতি ইতিমধ্যেই “খেলা হবে” থিম করে মানুষের মন জয় করেছে।
আরও পড়ুন : তৃণমূলকে সমর্থন গোয়ার নির্দল বিধায়ক প্রসাদ গাওনকরের, ধন্যবাদ মমতা-অভিষেকের
একইভাবে একদা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত মেদিনীপুর শহরের একটি সর্বজনীন পুজোর থিমও হয়েছে ”খেলা হবে” আদলে। বিভিন্ন খেলা নিয়েই সেজে উঠেছে মণ্ডপ। মেদিনীপুর শহরের বড়মানিকপুর সার্বজনীন পুজো কমিটির এবারের ভাবনায় উঠে এসেছে ভারতের ক্রীড়াজগতের বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্ত।
১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়েছে। পুজো মণ্ডপের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে আস্ত একটি স্টেডিয়াম। নাম দেওয়া হয়েছে ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম। এ বছর অলিম্পিকে ভারতের সাফল্যের বিষয়টিও শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন মণ্ডপে। জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়ার সোনার জেতার মতো গর্বের বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপ সজ্জার মধ্য দিয়ে।
পুজোর দক্তার অবশ্য বিষয়টিকে রাজনীতির রং লাগাতে চাইছেন না। তাদের বক্তব্য, ‘‘স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। ক্রিকেট, হকি, টেবিল টেনিস, ব্যাটমিন্টন, লুডো, তাস সব কিছু খেলাকেই তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপ সজ্জার মধ্যে দিয়ে। কপিল, সৌরভ, ধোনি সকলেই রয়েছেন মণ্ডপে। অনেক খেলাতেই এখন আগ্রহ হারিয়েছে নতুন প্রজন্ম। তাদের কাছে সেই সব খেলার মাহাত্ম বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।