প্রতিবেদন : চেষ্টা করলে সবকিছু সম্ভব। দরকার মনের জোর। চেষ্টা আর মনের জোর যে মানুষকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ জু ওয়েই। চিনের এই বাসিন্দার ছেলে দুরারোগ্য মেঙ্কস সিনড্রোমে আক্রান্ত। রোগের ওষুধ কেনা তার সাধ্যের বাইরে, তাই সে নিজেই তৈরি করে ফেলেছে ওষুধ।
ছোট্ট হাওইয়াংয়ের বয়সে মাত্র ২ বছর। বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাকেই সচল করার চেষ্টা করছেন বাবা জু ওয়েই। জু বাড়িতে বানিয়ে ফেলেছেন গবেষণাগার। সেখানেই ওষুধ তৈরি করছেন এবং খাওয়াচ্ছেন ছেলেকে।
আরও পড়ুন : এক কাপ চায়েই দিনগুজরান, তালিব শাসনের ১০০ দিন পূর্তিতে আফগানদের প্রাপ্তি প্রবল খাদ্যসংকট
তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমার আর কোনও উপায় ছিল না । ছেলেকে বাঁচাবার জন্য কিছু একটা করতেই হত। ওষুধ বাড়িতে বানিয়ে ছেলেকে অন্তত বাঁচিয়ে রেখেছি’’
জু’এর শিক্ষাগত যোগ্যতা হাইস্কুল পর্যন্ত। ছেলে অসুস্থ হওয়ার আগে অনলাইনে ছোট ব্যবসা চালাতেন জু। এখন সব ভুলে বানাচ্ছেন ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখার রসদ। তাঁর এই ওষুধ তৈরির সিদ্ধান্তে পরিবারের কেউই প্রথমে সায় দেয়নি। একার চেষ্টায় এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। এখন নিয়মিত ছেলেকে বাড়িতে বানানো এই ওষুধটি খাওয়াচ্ছেন জু। তাঁর দাবি, এই হোম মেড ওষুধ খাওয়ানোর দু’সপ্তাহ পর থেকে ছেলের রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক হয়েছে।
টানা ছ’সপ্তাহ গবেষণা। তারপর ওষুধের প্রথম ভায়ালটি তৈরি করেন জু। প্রথমে খরগোশের উপর প্রয়োগ করেন। তারপর নিজের উপর। বুঝতে পারেন কোনও খারাপ কিছু হয়নি। ওষুধ প্রয়োগ করেন ছেলের শরীরে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন জু যা তৈরি করেছেন তা এই বিরল রোগটিকে সারাতে পারবে না। যা হচ্ছে শুধুই ঠেকনা দেওয়া। তবু হাল ছাড়তে নারাজ জু। তাঁর স্পষ্ট উত্তর, ‘‘মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে দিতে পারি না ওকে।”