ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপির (BJP) সন্ত্রাসের জেরে নর্থ ব্লকের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC in Delhi) বিক্ষোভ। ধর্নায় বসতে বাধ্য হলেন তৃণমূল সাংসদরা। সোমবার সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (MP Derek O’Brien)।কিন্তু শাহ তৃণমূল সাংসদদের দেখা করার সময় দেননি। উপায় না দেখেই সাংসদরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-Sayoni Arrest: সায়নীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (MP Sougata Roy) বলেন, “ত্রিপুরায় বিজেপির তরফে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে যতটা লড়াই করা সম্ভব, করব।”
সোমবার সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের থেকে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন ডেরেক। নর্থ ব্লকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুখেন্দুশেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন-অগাস্ট ওয়াইজম্যান জেনেটিক গবেষণার পিতা
এদিন ওখানে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় গুণ্ডারাজ চলছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর অকথ্য হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু তিনি সময় দেননি। এ জন্য তাঁর দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে।
নর্থ ব্লকের সামনে দাঁড়িয়ে এদিন সাংসদ দোলা সেন বলেন, ‘ত্রিপুরা সামান্য মিনিসিপাল ইলেকশন লড়তে গেছে বলে আমাদের মন্ত্রী-এমপিদের যথেচ্ছভাবে মারা হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও কি মোদি- অমিত শাহ মানেন না? তা জানতে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। ২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে টালবাহানা চলছে। এমপিদেরকে অ্যাপয়েনমেন্ট দেওয়ার সাহস তাঁদের নেই ? সেই জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের সামনে এসেছি। অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আমাদের দেওয়া হোক। আমরা বিচার চাই।’
আরও পড়ুন-ক্ষমা করা যেতেই পারে কিন্তু এগুলোর কী হবে
আগামী বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগে রবিবার ত্রিপুরায় এই ধরণের আচরণ বাঞ্চনীয় ছিল না। আগরতলায় থানা চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ হয় । গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। থানায় দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগে সায়নীকে গ্রেফতার করে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ। ত্রিপুরায় হামলার তীব্র নিন্দা করেন তুমি বলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।