নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। সিবিআইয়ের নজরে এবার খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশ। এফসিআরএ লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা বেআইনি পথ অবলম্বন করছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) আন্ডার সেক্রেটারি পর্যায়ের এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। এছাড়াও এফসিআরএ বিভাগে কর্মরত কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িতেও ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠনকে বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছেন এফসিআরএ বিভাগের আধিকারিকরা। এই কাজের জন্য তাঁরা বিপুল টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ৩৬ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। তারমধ্যে রয়েছেন এফসিআরএ বিভাগের দু’জন প্রাক্তন এবং চারজন কর্মরত আধিকারিক। উল্লেখ্য, দেশের কোনও প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এনজিওকে বিদেশ থেকে আর্থিক সাহায্য পেতে হলে এফসিআরএ লাইসেন্স নিতে হয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেরই অধীনে রয়েছে। কার্যত অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন এফসিআরএ বিভাগের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। কয়েকটি এনজিওর প্রতিনিধি এবং হাওলা চক্রের দালালরাও রয়েছে সিবিআইয়ের নজরে। বুধবার মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, অসম এবং মণিপুরে মোট ৪০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৩ কোটি ২১ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। ওই আধিকারিকরা এনজিওর প্রতিনিধি এবং দালালদের সঙ্গে একজোট হয়ে এফসিআরএ লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। বিনিময়ে তাঁরা বিপুল টাকা ঘুষ হিসাবে নিতেন।
আরও পড়ুন: কয়লার আমদানি খরচ বাড়ায় বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির আশঙ্কা