প্রতিবেদন : শিশু ও প্রসূতিদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়মিত মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি মায়েদের কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাজ্য সরকারের হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা প্রসূতিদের ওজন এবং উচ্চতার হিসেব কষে গর্ভস্থ শিশুর ওজন নেওয়া হবে। বাচ্চা জন্মানোর পরে ফের তার ওজন নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে নবজাতক শিশুকে নিয়ে মা বাড়ি যাওয়ার পরে ৭, ১৪, ২৮ ও ৪২তম দিনে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে নবজাতক শিশুর ওজন নেবেন আশাকর্মীরা।
আরও পড়ুন-নতুন অ্যালবাম
প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য আপলোড করা হবে মাতৃ-মা প্রকল্পের পোর্টালে। অর্থাৎ গর্ভস্থ শিশুর ওজন এবং তার জন্মের পরে ৭, ১৪, ২৮ ও ৪২তম দিনে ওজন কীরকম কী আসছে সেটাই এই মাতৃ-মা প্রকল্পের পোর্টালে নথিভুক্ত থাকবে। তার ফলে ওই শিশুর ওজন দেখে বোঝা যাবে সে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে কি না বা সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ প্রসূতি এবং অপুষ্টিতে কোনও শিশু আক্রান্ত হচ্ছে বুঝতে পারলেই তা নিয়ে পদক্ষেপ করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এই বিষয়ে রাজ্যের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, শিশুর জন্মের পরে ২৮তম দিনে স্বাভাবিক ভাবে যে ওজন থাকার কথা তার থেকে কোনও শিশুর ওজন কম হলে তাকে অপুষ্টিতে ভোগা শিশু হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় শুরু হল তৃণমূলের কর্মিসম্মেলন, থাকবেন বিধায়ক-সভাপতিরা
কেন শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি হচ্ছে না, সেই বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাউন্সেলিং করবেন আশাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শিশুকে স্তন্যপান করাতে কোনও সমস্যা কিংবা মায়ের কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, তা খোঁজ নেবেন আশাকর্মীরা। সেই সব ঘটনার তথ্য মাতৃ-মা প্রকল্পের পোর্টালে নথিভুক্ত করা হবে। সেই পোর্টালের মাধ্যমেই নজর রাখা হবে ওই শিশুর ঠিকমতো পুষ্টি হচ্ছে কি না। সমস্যা কোথায় তা খুঁজে দেখা হবে। প্রয়োজনে সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত সাহায্যও করা হবে।