সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : আদিবাসী দফতর থেকে সমীক্ষা করে দেখা দরকার আদিবাসী ছেলে মেয়েরা শিক্ষায় এগাচ্ছে না পিছাচ্ছে এমনি অভিমত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার তিনি ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভায় সরকারি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ঝাড়গ্রামে বহু আদিবাসী পরিবার রয়েছে। তাঁরা কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী,সমব্যাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ সব সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পান। কিন্তু এই সব আদিবাসী ছেলে মেয়েদের শিক্ষার হারটা কেমন? শিক্ষায় এগাচ্ছে না পিছাচ্ছে সেটা আদিবাসী বিভাগ থেকে সমীক্ষা করে দেখা দরকার। আদিবাসী ছেলে মেয়েদের সরকার থেকে বিনামূল্যে ডব্লুবিসিএস, ইঞ্জিনিয়ারিং,আইএসের ফ্রি কোচিং দিচ্ছে। বাইরে পড়তে গেলে ২০লক্ষটাকা আর এখানে পড়লে ১০লক্ষটাকার শিক্ষা লোন পাচ্ছে। লোধা শবর পরিবারও আছে তাঁদেরও দেখা দরকার বলে সরকারি কর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন। উপস্থিত জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত সে সময় সভায় জানান, এ মাসের শুরুতে লোধা শবর এলাকায় ৭দিন ধরে দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। আটশো পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভার শুরুতে জেলার পাঁচ জন আদিবাসী গুনিজন কে একলক্ষ টাকার করে চেক, তাম্রপত্র, সংবর্ধনার সামগ্রী দিয়ে সংবর্ধিত করেন। যুব কল্যাণ দফতর থেকে পাঁচ জন তীরন্দাজকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩১ জনকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে স্পেশাল হোমগার্ডে (Homeguard) নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। প্রায় ১৫৮কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ২০টি প্রকল্প। সেই ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও আরও ১৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস এদিন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গুজরাতে লবণ কারখানার দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারালেন ১২ জন শ্রমিক