শরবত
দইয়ের ঘোল
উপকরণ : টক দই ৬ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গন্ধরাজ লেবুর রস ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো আধ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী এবং প্রয়োজনমতো জল।
প্রণালী : প্রথমে টক দইয়ের সঙ্গে নুন, চিনি মিশিয়ে সেটা মিক্সিতে ভাল করে ঘুরিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণটা দুটো গ্লাসে সমপরিমাণ ঢেলে নিয়ে তাতে সামান্য ঠান্ডা জল দিয়ে দিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে লেবুর রস এবং জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। গ্লাসের কোনায় গন্ধরাজ লেবুর একটা গোল টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মোইতো
উপকরণ : চিনি ২ চামচ, ১টা গোটা লেবুর রস, পুদিনা পাতা ১০-১২টা, বিটনুন যতটা প্রয়োজন, সোডা পরিমাণমতো, বরফ পরিমাণমতো, লেবুর টুকরো সাজানোর জন্য
প্রণালী : চিনি, লেবুর রস এবং পুদিনা পাতা, বিটনুন একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। একটা গ্লাসে বরফ দিন, এবার ওই মিশ্রণটি দিয়ে ঝাঁকান। সোডা মেশান পরিমাণমতো, গ্লাসের উপর লেবুর টুকরো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনার পরিবর্তে তুলসী বা লবঙ্গ দিতে পারেন। লো-ক্যালরি এই ড্রিঙ্ক শরীর ঠান্ডা ও রিহাইড্রেট করবে।
আরও পড়ুন-পার্টির ঘরোয়া মেনু
তরমুজ-পুদিনার মকটেল
প্রণালী : তরমুজ ১টা ছোট গোটা, পুদিনা পাতা ২০টা, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি ২ থেকে ৩ চামচ অথবা মধু ৩ চামচ। বরফকুচি খানিকটা।
উপকরণ : প্রথমে তরমুজকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। একটি ব্লেন্ডারে তরমুজ, পুদিনা পাতা, লেবুর রস এবং সামান্য চিনি বা মধু যোগ করুন। সবকিছু বরফকুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একটি ছাঁকনির মাধ্যমে রসটিকে ছেঁকে নিন। এবার রসে বরফ যোগ করুন এবং পুদিনা পাতা উপরে দিয়ে পরিবেশন করুন। এই মকটেলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। তরমুজে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, পুদিনা হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে শীতল করে।
স্টার্টার
ফ্রুট স্যালাড
উপকরণ : নিজের পছন্দ অনুযায়ী ফল (আপেল আঙুর, আনারস, তরমুজ, পেঁপে, বেদানা, আম ইত্যাদি), মধু, বিট লবণ, পরিমাণমতো ফ্রেশ টক দই।
প্রণালী : প্রথমে সমস্ত ফলগুলোকে একই ভাবে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার সেই ফল একটা বড় বাটিতে ঢেলে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো মধু, টক দই এবং বিট লবণ ছড়িয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। পরিবেশনের সময় সমস্ত উপকরণ মিশ্রিত ফলটির ওপর আরও একটু দই ও মধু ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
আরও পড়ুন-মার্করামের সেঞ্চুরি, ট্রফি জয়ের হাতছানি
চিকেন শিক কাবাব
উপকরণ : টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম বোনলেস চিকেন, টক দই ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চামচ, রসুন বাটা ১চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা হাফ চামচ, পাতিলেবুর রস ১চামচ, গোলমরিচের গুঁড়ো ২ চামচ, তন্দুরি মশলা ২ চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো ১ চামচ, বাটার বা সরষের তেল পরিমাণমতো, স্বাদমতো লবণ
প্রণালী : টুকরো করা বোনলেস চিকেন-এর সঙ্গে পরিমাণমতো আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা আর পাতিলেবুর রস মাখিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। আধঘণ্টা পর টকদই, তন্দুরি মশলা, কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো আর পরিমাণমতো লবণ দিয়ে আবারও ম্যারিনেট করুন। কমপক্ষে চার ঘণ্টা এই ম্যারিনেট করা চিকেনটা রাখতে হবে। চার ঘণ্টা পরে সিকের মধ্যে কাবাবগুলো গেঁথে নিয়ে ওভেনে সেঁকে নিন। ওভেন না থাকলে ননস্টিক তাওয়াতে অল্প তেল ব্রাশ করে চিকেনের টুকরোগুলো এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিন। সেঁকার বা ভাজার সময় ব্রাশ দিয়ে চিকেনের গায়ে বাটার অথবা সরষের তেল লাগিয়ে নেবেন। চিকেন নরম হয়ে গেলে এবং সোনালি রং ধরলে নামিয়ে নিয়ে বিটনুন আর লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
পনির টিক্কা
উপকরণ : ছোট ছোট টুকরো করে কাটা পনির ২৫০ গ্রাম, টক দই ২ কাপ, সাদা তেল ৩ চামচ, বেসন ১ চামচ, হলুদ ২ চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো ১ চামচ, ধনে গুঁড়ো ২ চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চামচ, গরম মশলা ২ চামচ, আদা-রসুনের পেস্ট ২ চামচ, পাতিলেবুর রস পরিমাণমতো, জোয়ান ২ চামচ, একটা করে গাজর ও ক্যাপসিকাম, বড় সাইজের সরু কাঠি।
প্রণালী : একটা বড় পাত্রে টক দই, ধনে, লঙ্কা ও জিরে গুঁড়ো, হলুদ, সাদা তেল, আদা ও রসুনের পেস্ট, জোয়ান, পরিমাণমতো লেবুর রস ও স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটিতে পরিমাণমতো বেসন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। গাজর, ক্যাপসিকাম চৌকো করে কেটে নিন। এরপরে ওই মিশ্রণে গাজর, ক্যাপসিকাম এবং পনিরের টুকরোগুলো দিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। আধঘণ্টা পর একটা সরু কাঠিতে গাজর, পনির, ক্যাপসিকামের টুকরোগুলো সাজিয়ে নিন। এবার একটা ফ্রাইং প্যানে সাদা তেল ব্রাশ করে অল্প আঁচে পনিরগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেঁকে নিন। সোনালি হয়ে এলে পনিরগুলো নামিয়ে নিন। এবার যে কোনও সসের সঙ্গে এটা পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন-মার্করামের সেঞ্চুরি, ট্রফি জয়ের হাতছানি
মেনকোর্স
কাশ্মীরি পোলাও
উপকরণ : বাসমতী চাল ২ কাপ, গোটা জিরে আধ চা-চামচ, দারচিনির একটা স্টিক, ২টো এলাচ, ৩টে লবঙ্গ, ১টা তেজপাতা, দুধ ২ কাপ, ভাল করে ফেটানো আধ কাপ ফ্রেশক্রিম এবং ফল আনারস, বেদানা আপেল, আঙুল, চেরি পরিমাণমতো। আধ কাপ ড্রাই ফ্রুটস কাজু, আমন্ড, কিশমিশ, ঘি ২ টেবিল চামচ, নুন স্বাদমতো, দু-তিনটি গোলাপের পাপড়ি আর সামান্য জাফরান।
প্রণালী : প্রথমে বাসমতী চালটাকে খুব ভাল করে ধুয়ে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটি পাত্রে দুধ ফেটানো ক্রিম এবং নুন মিশিয়ে নিন। জাফরান মেশান। এরপর চালগুলো খুব ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন। এবার একটা পাত্রে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন। ওর মধ্যে জল ঝরিয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন। মিনিট দুয়েক নাড়াচাড়া করে ওর মধ্যে দুধের মিশ্রণটি এবং দু’কাপ জল মেশান। এরপর পাত্রটিতে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। এবার ঘিয়ে কাজু, আমন্ড ভেজে নিন এবং আলাদাভাবে কিশমিশও ভেজে রাখুন। আনারস, আপেল খুব ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন এবং বেদানার দানা ছাড়িয়ে নিন। ভাত ঝলঝরে হলে একে একে ভাজা ড্রাই ফ্রুটসগুলো মিশিয়ে নিন। ফলের টুকরোগুলোও দিয়ে দিন। গার্নিশিং-এর জন্য গোলাপের পাপড়ি ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
গন্ধরাজ চিকেন
উপকরণ : চিকেন ৫০০ গ্রাম, রসুন বাটা দু’ টেবিল চামচ, ৩টে লবঙ্গ, ৩টে এলাচ, এক টুকরো দারচিনি, ৫-৬ গোটা গোলমরিচ, এক চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, একটা গন্ধরাজ লেবু, ৫-৬টা গন্ধরাজ লেবুর পাতা, পরিমাণমতো সাদা তেল, স্বাদমতো নুন, টক দই ২ টেবিল চামচ, ১টা বড় পেঁয়াজ বাটা, ৫-৬টা কাঁচা লঙ্কা, আদা বাটা ২ চামচ।
প্রণালী : প্রথমে চিকেনটা ভাল করে ধুয়ে তার মধ্যে টকদই, এক চামচ আদাবাটা, এক চামচ রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, একটা গন্ধরাজ লেবুর অর্ধেকটা রস আর এক চামচ গ্রেট করা লেবুর খোসা দিয়ে ভাল করে ম্যারিনেট করে আধঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর একটা কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তার মধ্যে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ও গোটা গোলমরিচ ফোড়ন দিতে হবে। এরপর এরমধ্যে পেঁয়াজ বাটা ও কাঁচা লঙ্কাগুলো চিরে দিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে এক চামচ আদা বাটা ও এক চামচ রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবেন। মশলাটা কষা হয়ে গেলে ম্যারিনেট করা মুরগির মাংসটা দিয়ে দেবেন। এরপর হাই ফ্লেমে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করে নিয়ে ফ্লেমটা কমিয়ে এবার মাংসটা আস্তে আস্তে কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে কিছুটা গরম জল দিন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর যখন মাংসটা সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন বাকি অর্ধেক লেবুর রসটা ও লেবুর পাতাগুলো দিয়ে গ্যাসটা বন্ধ করে পাত্রের মুখটা আবার ঢাকা দিয়ে দিন। তৈরি গন্ধরাজ চিকেন।
আরও পড়ুন-স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাল তৃণমূল
ডিমের হালুয়া
উপকরণ : ডিম চারটি, গুঁড়ো দুধ ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, লিকুইড দুধ ২ কাপ, ঘি ১ কাপ, গুঁড়ো এলাচ ২ চিমটি, ড্রাই ফ্রুটস ১ কাপ (কাজু, আমন্ড, পেস্তা কুচনো)
প্রণালী : একটি বাটির মধ্যে ডিমগুলো ফেটিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ ওর সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি একটি প্যানে ঢেলে মিডিয়াম আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে একটা পর্যায়ে সম্পূর্ণ ঘিটা ছেড়ে দেবে। এবার এই মিশ্রণটি একটি থালায় ঢেলে নিন। এরপর এর ওপরে কুচনো ড্রাই ফ্রুটসগুলো দিয়ে দিন। একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে পিস পিস করে কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
কফি মিল্ক পুডিং
উপকরণ : ২টো ডিম, ১/২ কাপ চিনি, ২ টেবিল চামচ কর্নস্টার্চ, ১ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ ইনস্ট্যান্ট কফি পাউডার, ভ্যানিলা এসেন্স ১ চামচ, জেলেটিন পাউডার ২ চামচ (চাইলে নাও দিতে পারেন)
প্রণালী : একটি পাত্রে দুধ, চিনি, কফি পাউডার এবং কর্নফ্লাওয়ার ভালভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাঝারি আঁচে বসিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি ঘন হয়ে আসে। ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। জেলেটিন পাউডার যদি ব্যবহার করেন প্রথমে সামান্য ঠান্ডা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন, তারপর গরম দুধের সঙ্গে যোগ করুন এবং ভালভাবে নাড়ুন। পুডিং-এর মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। এবার একটি পাত্রে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন অন্তত দু’ থেকে তিন ঘণ্টা তারপর পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মালাই পনির
উপকরণ : পনির ৫০০ গ্রাম, দু’ টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ কাজু বাটা, এক টেবিল চামচ আমন্ড বাটা, এক টেবিল চামচ চারমগজ এবং তার সঙ্গে ছ’টা গোলমরিচ একত্রে বাটা, নারকেলের দুধ আধকাপ, নারকেল কোরা আধকাপ, কাঁচা লঙ্কা চারটি, দুটি টমেটো বাটা, হলুদ গুঁড়ো দু’ চামচ, দু’ চিমটি চিনি, এক টুকরো দারচিনি, একটা এলাচ, দুটো লবঙ্গ, দু’চামচ টমেটো সস, স্বাদমতো লবণ, গরম মশলার গুঁড়ো আধ চা-চামচ এবং পরিমাণমতো জল।
প্রণালী : প্রথমে কড়াইয়ে ঘি গরম করে নিন। এরপর এর মধ্যে টুকরো করে কেটে রাখা পনিরগুলো দিয়ে ভাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই ঘিতে প্রথমে এক চিমটি চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না ব্রাউন কালার আসবে। এরপর এর মধ্যে গোটা গরম মশলা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে টমেটো বাটা দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করুন। এরপর একে একে হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটি চিনি ও পরিমাণমতো লবণ দিন। নাড়াচাড়া করে কাজুবাটা, আমন্ড বাটা, চারমগজ বাটা, টমেটো সস এবং কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে এলে অল্প জল দিন। জলটা ফুটে শুকিয়ে গেলে ওর মধ্যে ভাজা পনিরগুলো দিয়ে দিন। পনির দিয়ে আবার কিছুক্ষণ কষানোর পর নারকেলের দুধ অল্প জল এবং চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ফুটতে দিন। ঘন হয়ে এলে গরম মশলার গুঁড়ো এবং নারকেল কোরা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।