প্রতিবেদন : দেশের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রায়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট দেউলিয়াত্ব কোড অনুসারে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। রুগ্ণ জেট এয়ারওয়েজের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দেয়, এছাড়া আর কোনও পথ নেই।
এর আগে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের তরফে এই বিমান সংস্থাকে পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে মালিকানা হস্তান্তর করা যায়, তার সপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের সেই সিদ্ধান্ত এদিন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ ন্যাশনাল কোম্পানি ল আপিল ট্রাইব্যুনালের (এনসিএলএটি) আদেশ বাতিল করে দিয়েছে।
সংবিধানে উল্লিখিত ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে জেটের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে যে এনসিএলএটি’র আদেশটি ন্যায়ভ্রষ্ট ছিল। কারণ এটি রেকর্ডে প্রমাণকে বিভ্রান্ত করেছে।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে আজব কাণ্ড, চেয়ারে রামের ছবি বসিয়ে চলছে পঞ্চায়েত দফতর
একইসঙ্গে আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, পাঁচ বছর আগে যেখানে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গিয়েছিল, এত দিনেও কেন তার প্রয়োগ হল না? ঘটনাক্রমকে ‘অদ্ভুত এবং উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, তা প্রয়োগ করা যেহেতু আর সম্ভব নয়, তাই সম্পত্তি বিক্রিতে বিনিয়োগকারীদেরও রাখতে হবে শেষ অবলম্বন হিসেবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-সহ যারা জেট এয়ারওয়েজকে ঋণ দিয়েছিল, তাদেরও এতে যুক্ত করতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দেশের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি বিমানসংস্থাকে বাঁচানোর যে শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থায় বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানো সংস্থা জালান-কালরক গোষ্ঠী অধিগ্রহণের শর্তপূরণে ব্যর্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যায় জেটের উড়ান। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেট এয়ারওয়েজের যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে বিনিয়োগকারী এবং কর্মীদের ঋণ মেটাতে হবে।