শনিবার সাতসকালে শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বড়বাজারে (Burrabazar) ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানে বিধ্বংসী আগুন থেকে পাশের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়ল আগুন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। তবে দোকানের ভিতরে প্রচুর ইলেকট্রিক সামগ্রী থাকায়, সেগুলি বিকট শব্দে ফাটছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের উদ্যোগে এবার পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ১৫ নভেম্বর ভোর ৫টা নাগাদ ১৭ নং এজরা স্ট্রিটে আগুন লাগে। একটি ইলেকট্রিক দোকানের দ্বিতীয় তলায় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দেখতে পেয়ে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, এরপরে দমকলে খবর দেন। প্রথমে ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছলেও পরে আরও দমকলের ইঞ্জিন প্রয়োজন হয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। দোকানটি যে বিল্ডিংয়ে, সেটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দেখা গিয়েছে, উল্টোদিকের আরও একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। একের পর এক তলে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আশেপাশের সমস্ত দোকানেই ইলেকট্রিক, বৈদ্যুতিন সামগ্রী এবং এসি থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বিল্ডিংয়ের মাঝের অংশে পৌছনো যাচ্ছে না। গলির দুই দিক থেকে দমকলের কর্মীরা জল দিয়ে বিল্ডিংগুলিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কান্দিতে SIR-আতঙ্কে আত্মঘাতীর পরিবারের পাশে আছে তৃণমূল
বিল্ডিংয়ে প্রথমে একটি তলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, তারপর ছাদ পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সিলিন্ডার ফাটার শব্দ আসছে পরপর। দমকল কর্মীরা পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে পৌঁছতে পেরেছেন। তবে আগুন নেভাতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। যে বিল্ডিংয়ে প্রথম আগুন লেগেছিল, যতক্ষণ সেই বিল্ডিংয়ের মাঝখানের অংশের আগুন নেভানো যাচ্ছে না, ততক্ষণ বাকি অংশের আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বাড়ির ছাদগুলি টিনের হওয়ায় দমকলকর্মীরা সেখানেও যেতে পারছেন না। চারপাশের সমস্ত বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। দমকলকর্মীদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দারাও বিল্ডিং থেকে জল দিচ্ছেন।

