উত্তর কাশীতে ভয়াবহ হড়পা বান, মৃত ৫, নিখোঁজ ৬০

এদিনের ঘটনায় ধরালী গ্রাম ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সাক্ষী থাকল। এই গ্রাম গঙ্গোত্রীর খুব কাছে। ইতিমধ্য়েই ভেসে গিয়েছে ধরালি গ্রামের বহু বাড়ি, হোটেল

Must read

ভয়ঙ্কর অবস্থা উত্তর কাশীর (Kashi) । মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের ফলে ইতিমধ্যেই মৃত ৫ ও নিখোঁজ ৬০। এদিনের ঘটনায় ধরালী গ্রাম ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সাক্ষী থাকল। এই গ্রাম গঙ্গোত্রীর খুব কাছে। ইতিমধ্য়েই ভেসে গিয়েছে ধরালি গ্রামের বহু বাড়ি, হোটেল। সাধারণত জলের প্রচন্ড স্রোত দেখা গেলেও জলের সঙ্গে কাদা-পাথরের স্রোত নেমেছে পাহাড়ি নদীতে। জনবসতির উপর দিয়ে তীব্র গতিতে এগিয়ে এসেছে সেই স্রোত। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ে কোনও অংশে বড় ধস নেমে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধসের জেরে কাদা-পাথর নদীতে নেমে এসেছে। ধস নামা অঞ্চলটি উত্তর কাশী থেকে গঙ্গোত্রীর দিকে যাচ্ছে। এনডিআরএফ এবং ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পেট্রোল (আইটিবিপি) এর একটি দল উদ্ধার অভিযানের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) এর একটি দলও ঘটনাস্থলে রয়েছে।

আরও পড়ুন-মৌসুমি অক্ষরেখার জেরেই ভারী বৃষ্টি

সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই প্রকট হয়েছে প্রকৃতির রুদ্ররূপ। বিশাল সেই কাদা-পাথরের স্রোতের মধ্যেই তাসের ঘরের মত ভেসে যাচ্ছে পাহাড়ের ঢালে থাকা একাধিক বাড়ি। গত কয়েক বছরে উত্তরাখণ্ডে হড়পা বান বেশ চেনা ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর নেমে আসছে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ক্ষীর গঙ্গা নদী এলাকায় মেঘ ভাঙার ঘটনা ঘটে, যার ফলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। ভৌগোলিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ডি.এন. জোশী এই বিষয়ে জানান, প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা উচিত।
যখন অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টি হয় তখন মেঘ ভেঙে যায়। এই ঘটনাগুলি বেশিরভাগই পাহাড়ি অঞ্চলে ঘটে। আবহাওয়া বিভাগ সেই সময়ে সতর্কতা জারি করে। এমনিতেই উত্তরকাশী এবং কেদারনাথ উপত্যকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গাড়োয়ালের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পান্ডে জানিয়েছেন এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরে, উত্তরকাশীর আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র সুখি টপ থেকে মেঘ ভাঙার খবর পাওয়া যায়। যদিও সেখানে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে মেঘ ভাঙার ফলে নদীর জলস্তর মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Latest article