নারকীয় ঘটনার সাক্ষী মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ! রবিবার লাতুর জেলায় গাড়ির ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার এক যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ। সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে গাড়িটিও। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম গণেশ চাভান। তিনি লাতুর জেলার আউসা টাণ্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কাজের সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হত গণেশকে। তবে কখন কোথায় যাচ্ছেন সেই বিষয়ে পরিবারের এতটা ধারণাও ছিল না।
আরও পড়ুন-যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে ভাঙচুর! গ্রেফতার ২, আয়োজক দলের ৬ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে পরিকল্পিতভাবেই এই খুন করা হয়েছে। প্রথমে গণেশকে জীবন্ত অবস্থায় একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে তাঁর নিজের গাড়ির ভিতরে ঢোকানো হয়। এরপর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে গাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দমকল কর্মীদের সাহায্যে আগুন নিভিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে সম্পূর্ণ দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, রবিবার তাঁরা গণেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরে খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁরা এই ঘটনার কথা জানতে পারেন।
আরও পড়ুন-শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে সার্কাস
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এদিন রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ জরুরি নম্বর ১১২-এ একটি ফোন আসে। বানাওয়াড়া রোডে একটি গাড়ি জ্বলছে বলে জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দমকলের সাহায্যে আগুন নেভানো হয়। এরপর আশ্চর্যজনকভাবে গাড়ির ভিতর থেকে একটি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী কারণ, ব্যক্তিগত শত্রুতা না পেশাগত কোনও সমস্যা সেই বিষয়ে এখনও জানা যায় নি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, যুবকের ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।

