ফের একবার রেলে যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠল বড় প্রশ্ন। দেশজুড়ে রেল পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্কের শেষ নেই। একপ্রকার প্রাণ হাতে নিয়েই সফর করছেন তারা প্রতিনিয়ত। ভারতীয় রেল এখন দুর্ঘটনা ও ভয়াবহতার আরেক নাম। এবার লাইনচ্যুত হয়ে গেল কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস (Kamakhya Express)। একাধিক এসি কামরা উল্টে গিয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাক্ষ্যা যাচ্ছিল ট্রেনটি। ওড়িশার কটক স্টেশন ছেড়ে কেন্দাপাড়ার কাছে কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত ৭ জন যাত্রী ও মৃত ১। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি যাত্রীদের ঘটনাস্থল থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারের চিন্তা নেরোকার গতি
জানা গিয়েছে, ১২৫৫১ বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস রবিবার কটকের চৌদ্বারের কাছে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। তবে ঠিক কী কারণে আচমকা ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হল, তা এখনও জানা যায় নি। পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন রবিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কামাখ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাস্থলে একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাও পৌঁছেছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা এই নিয়ে মুখ খোলেন নি তিনি। যদিও রেল আধিকারিকের কথার সাথে মিল নেই যাত্রীদের কথার। তারা জানান বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ ট্রেন চলাচল। প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। ট্রেনের যাত্রীরা রেললাইনের ধারেই অপেক্ষা করছিলেন। এদিনের দুর্ঘটনার ফলে ধৌলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ট্রেনের যাত্রীদের সাহায্যের জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে- 8991124238 (কটক) ও 8455885999 (ভুবনেশ্বর)।
আরও পড়ুন-পরীক্ষায় ফেল আরও ১০৪টি জাল ওষুধে বাড়ছে আতঙ্ক
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুন যাত্রিবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ওই ট্রেনের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি বগি পাশের লাইনে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। আজ কটকে কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ফের একবার সেই স্মৃতি উস্কে দিল।