শিশুচুরি হলেই বাতিল করা হবে হাসপাতালের লাইসেন্স : সুপ্রিম কোর্ট

নবজাতক পাচার রোধে এক কড়া পদক্ষেপ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে, কোনও হাসপাতালে যদি শিশু পাচারের প্রমাণ মেলে, তবে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে।

Must read

প্রতিবেদন : নবজাতক পাচার রোধে এক কড়া পদক্ষেপ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে, কোনও হাসপাতালে যদি শিশু পাচারের প্রমাণ মেলে, তবে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে। বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানায়, নবজাতক পাচারের ঘটনায় কেবলমাত্র ফৌজদারি ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, বরং হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপও নিতে হবে।
শীর্ষ আদালতের ভাষায়, যদি কোনও নবজাতক কোনও হাসপাতাল থেকে পাচার হয়, তবে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী অন্য পদক্ষেপও হবে। আদালত আরও মন্তব্য করেছে, কোনও প্রসূতি-নারী সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর নবজাতকের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।

আরও পড়ুন-নতুন রাস্তা তৈরির জন্য অনুমোদন ছাড়াই হাজার হাজার গাছ কাটা হয়েছে

সর্বোচ্চ আদালতের এই মন্তব্য এসেছে উত্তরপ্রদেশে শিশু পাচার মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের জামিন বাতিল করার আদেশ ঘোষণার সময়। আদালত রাজ্য সরকার ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, রাজ্য সরকার এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অভিযুক্তদের জামিন আদেশ চ্যালেঞ্জ করেনি। হাইকোর্টের জামিন দেওয়ার পদ্ধতিকে আদালত “চরম গাফিলতিপূর্ণ” বলেও অভিহিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একটি ইংরেজি দৈনিকে ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত জানায়, একটি সংঘবদ্ধ পাচারচক্র দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে সক্রিয় রয়েছে, যারা পাচার হওয়া নবজাতক ও শিশুদের ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করছে। আদালতের মতে, পাচারকারীরা অত্যন্ত প্রযুক্তিসচেতন এবং সংঘবদ্ধভাবে কাজ করছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে তারা ছবি, তথ্য, অবস্থান এবং টাকা লেনদেন করে। এসবের মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা বাজারের চাহিদা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং সুপরিকল্পিত নেটওয়ার্কের অংশ। এই রায় শিশু সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে এক বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ভবিষ্যতে নবজাতক পাচারের কোনও ঘটনা সামনে এলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

Latest article