প্রতিবেদন : রীতিমতো বেআইনি কাজ করলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আবাস যোজনার ফর্ম জমা নিলেন মালদহের বিএসএফ ক্যাম্পে বসে। বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজারে কেষ্টপুরের এবং কালিয়াচকে গোলাপগঞ্জের বিএসএফ ক্যাম্পে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোতেশ্বর পাতিলের এই কাণ্ড দেখে ঝড় উঠেছে বিতর্কের।
আরও পড়ুন-শীতের ইডেনে মানুষের ঢল
মন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। যে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা বিডিও বা পঞ্চায়েত অফিসে, প্রশাসনকে এড়িয়ে সেই আবেদনপত্র কীভাবে, কোন যুক্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদনকারীদের জমা দিতে বাধ্য করা হল বিএসএফ ক্যাম্পে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। তা হলে কি সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের ভয়েই বিএসএফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? লক্ষণীয়, বুধবার ভূতনির চর পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা রীতিমতো কৈফিয়ত চান, আবাস যোজনা, নদীর ভাঙনরোধ এবং ১০০ দিনের কাজে কেন বাংলাকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র? কেন দিচ্ছে না প্রয়োজনীয় অর্থ? বৃহস্পতিবারও প্রথমে ইংরেজবাজারে পরে গোলাপগঞ্জে মন্ত্রীর সামনেই সেই একই ক্ষোভের বিস্ফোরণ। অস্বস্তি এড়াতেই মন্ত্রী এদিন ঢুকে পড়েন বিএসএফ ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের বৈঠকে বোমাবাজি, ধৃত ১২
কপিল মোতেশ্বর পাতিলের এই ভূমিকাকে সরাসরি সংবিধান-বিরোধী বলে মন্তব্য করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় মানুষের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরির মন্তব্য, যাদের সীমানা পাহারা দেওয়ার কাজ, তাদের ক্যাম্পে বসে আবাস যোজনার ফর্ম কীভাবে জমা নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? কেন ডাকা হল না জেলাশাসক কিংবা বিডিওদের? এটা কি যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন্থী নয়? তাঁর মতে, এখানে এসে সংকীর্ণ রাজনীতি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সবচেয়ে বড় কথা, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ৩ দিনের মালদা সফরে এসে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছেন,তাতে একটা প্ররোচনার আবহ তৈরি হচ্ছে এলাকায়। সাধারণ মানুষ এই নিয়ে গভীর উদ্বেগে।