সার্চ কমিটিতে তছরুপে অভিযুক্ত ও রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠজন ঢুকল কীভাবে

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয়উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত হয় সার্চ কমিটি। পাঁচজনের কমিটিতে রমেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগ।

Must read

প্রতিবেদন : উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে এবার বড়সড় ঘোটালা উঠে এল। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয়উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত হয় সার্চ কমিটি। পাঁচজনের কমিটিতে রমেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগ। যে কারণে উপাচার্যের পদ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। রমেশ রাজস্থানের ভরতপুর মহারাজা সুরজমল ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

অন্যজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস এসকে পট্টনায়েক। সরাসরি রাজভবনের কর্মী। শিক্ষাবিদদের অভিযোগ, রমেশ চন্দ্র সরাসরি বিজেপির রিক্রুটমেন্ট এবং পট্টনায়েক রাজ্যপাল বোসের বদান্যতায় সার্চ কমিটিতে। স্বভাবতই প্রশ্ন, সার্চ কমিটিতে থাকার কথা শিক্ষাবিদদের। কিন্তু রয়েছেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বরখাস্ত এক উপাচার্য, অন্যজন রাজ্যপালের অধীনস্থ কর্মী, যিনি রাজ্যপালের অধীনেই কাজ করেছেন আমলা হিসেবে। এখন সার্চ কমিটিতে। শিক্ষবিদদের অভিযোগ, এ তো আসলে বিজেপির সাজিয়ে দেওয়া কমিটি। যার নিরপেক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বলছেন, পট্টনায়েকের কমিটিতে থাকা আসলে সরাসরি স্বার্থের সংঘাত। কী করে পাঁচজনের সার্চ কমিটিতে ঢুকলেন। রাজ্যপালের অধীনস্থ কর্মী থাকার কারণেই যে তাকে সার্চ কমিটিতে আনা হয়েছে তা রাজভবনে কান পাতলেই শোনা যায়। অন্যদিকে তছরুপে অভিযুক্তকে কমিটিতে রাখাটাই অন্যায়, অনৈতিক এবং অনেকটাই বেআইনি। শোনা যাচ্ছে কলকাতার বাঙালি বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় চন্দ্রকে সার্চ কমিটিতে ঢুকিয়ে বিজেপি নিজেদের সিদ্ধান্ত চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে। ক্ষুব্ধ অলবেঙ্গল প্রিন্সিপাল কাউন্সিল। সংগঠনের সভাপতি মানস কবি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ললিতকে ঘটনার কথা উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছেন।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের স্বেচ্ছাচারিতায় দাঁড়ি টেনেছে আদালত। সেই কারণেই সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার তিনদিনের সেই ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে। ঠিক তার আগে শিক্ষাবিদদের এই অভিযোগ সার্চ কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো নামের তালিকাকে মান্যতা দিয়েই সার্চ কমিটি উপাচার্য নিয়োগে প্রস্তাবিত নাম পাঠাবে রাজভবনে। নির্বাচিত ব্যক্তিকে উচ্চশিক্ষা দফতরকে জানিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই ঝড় চন্দ্র ও পট্টনায়েককে নিয়ে। একাধিক অধ্যাপক এবং শিক্ষাবিদ বলছেন, তছরুপে জড়িত ব্যক্তি কী করে সার্চ কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন? আবার রাজ্যপালের কর্মী হিসেবে সার্চ কমিটিতে থাকাটা কখনওই নৈতিকভাবে ঠিক নয়। কীভাবে এঁদের নিয়োগ হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদরা।

Latest article