ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে কীভাবে? মহারাষ্ট্র নিয়ে মহাচিন্তায় বিজেপি

অপারেশন কমল করে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করা হলেও অন্দরে জোট শরিকদের বোঝাপড়ায় চরম ঘাটতি।

Must read

সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: সময় কম। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে৷ হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীরের ভোটপর্ব মেটার দিন কয়েক পরেই মহারাষ্ট্রের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনই জল্পনা তীব্র হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে৷ এই অবস্থায় মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে দলের যাবতীয় প্রচারাভিযানের দায়িত্ব কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়েই চরম দ্বিধাগ্রস্ত বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমান দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, নীতিন গড়করি নাকি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ; রাজ্যের প্রচারের দায়িত্ব কার হাতে তুলে দিলে ভোটের ফল ভালো হবে তা নিয়েই দোটানায় পড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ এমনিতেই দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর সাংগঠনিক হাল ঘিরে চিন্তায় গেরুয়া শিবির। অপারেশন কমল করে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করা হলেও অন্দরে জোট শরিকদের বোঝাপড়ায় চরম ঘাটতি।

আরও পড়ুন-ভারতে বিদেশি পর্যটকের শীর্ষে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

এমনিতে প্রবীণ নেতা ও নাগপুর-ঘনিষ্ঠ নীতীন গড়করির সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ দুই নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর মানসিক দূরত্ব অনেকটাই বেশি৷ দল ও সরকারের অন্দরে গড়করি বরাবরই সংঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করতেও পিছপা হননি তিনি৷ বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি তুলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন গড়করি৷ মহারাষ্ট্র গড়করির নিজের রাজ্য৷ সেখানকার ভোটে তাঁর অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি ব্রাত্য করে রাখা হলে পরবর্তীকালে সমস্যা তৈরি হতে বাধ্য, এটা আন্দাজ করেই করা হচ্ছে বিকল্প চিন্তাভাবনা৷ অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের একটা বড় অংশের সম্পর্ক ভালো নয় বলেই দলীয় সূত্রের দাবি৷ একই অবস্থা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের ক্ষেত্রেও৷ দিল্লি-মুম্বইয়ের মধ্যে ক্রমাগত ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার ফাঁকে পীযুষ গোয়েলের মহারাষ্ট্র কানেকশন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে কোন নেতা বা নেত্রীর উপরে নির্ভর করা উচিত, এটাই এখন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বড় চিন্তা।

Latest article