মঙ্গলবার সকালেই লিলুয়ায় লাইনচ্যুত হাওড়াগামী ডাউন লোকাল ট্রেন (Train)। এর জেরে হাওড়া-বর্ধমান মেইন ও কর্ড লাইনে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। বাতিল করা হয় হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ৬টি লোকাল ট্রেন। দুর্ভোগ যাত্রীদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুপুর গড়িয়ে যায়। রেল সূত্রে খবর, সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ শেওড়াফুলি থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি ফাঁকা লোকাল ট্রেন লিলুয়া স্টেশনের কাছে হঠাৎই লাইনচ্যুত হয়। লিলুয়া স্টেশন পার হয়েই ডাউন মেন লাইন থেকে পাশের ‘রিভারসেবল’ লাইনে উঠতে গিয়ে আচমকাই লাইনচ্যুত হয় ওই ট্রেনের কয়েকটি বগি। সেইসময় পাশের লাইন দিয়ে উল্টো দিক থেকে আসছিল আরও একটি লোকাল ট্রেন। ওই ট্রেনের চালক তৎক্ষণাৎ ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়ায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। বেলুড় পর্যন্ত কর্ড লাইন দিয়ে মেন লাইনের ট্রেন চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও অস্বাভাবিক দেরিতে লোকাল ট্রেন চলাচল করে। তিনটি আপ হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল ও তিনটি ডাউন ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল এবং কর্ড লাইনে এক জোড়া হাওড়া চন্দনপুর লোকাল বাতিল করতে হয়।
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে মিসাইল হামলায় মৃত ৪৫, ‘মর্মান্তিক ভুল’ বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। রেল কর্তৃপক্ষ দিন দিন ভাড়া বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু যাত্রী পরিষেবা ও রক্ষণাবেক্ষণের দিকে কোনও নজর দিচ্ছে না। তার ফলেই এমন দুর্ঘটনা। আমরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে রক্ষণাবেক্ষণে আরও নজর দেওয়ার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। রেলের গাফিলতির কারণেই এদিন এই ঘটনা ঘটল। তার জেরে নাকাল হলেন বহু যাত্রী। অনেকেই ট্রেন (Train) থেকে নেমে অতিরিক্ত গাঁটের কড়ি খরচ করে তাঁদের কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ৫মিনিট করে এগিয়ে ফের দীর্ঘক্ষণ থেমে থেকেছে প্রতিটি লোকাল ট্রেন। ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে অধিকাংশ লোকাল ট্রেনই।’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান ‘দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনটি ফাঁকা থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ৮টা ৫৫ মিনিট থেকে ডাউন মেইন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে ট্রেন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়। কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’