সংবাদদাতা, হাওড়া : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নির্দেশ দিয়েছেন বেআইনি নির্মাণ হোক বা অবৈধভাবে জল সরবরাহের ক্ষেত্রে পদ না দেখে ব্যবস্থা নিতে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার। এখন থেকে হাওড়া শহরে নতুন নির্মীয়মাণ বাড়ির অনুমোদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হাওড়া পুরসভার ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। হোল্ডিং নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে নির্মীয়মাণ ওই বাড়ির পুরসভার অনুমোদনের রিপোর্ট দেখতে পাওয়া যাবে। ফলে ওই বাড়িটির পুরসভার অনুমোদন আছে কিনা তা সহজেই জানা যাবে।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামের নন্দীনাথ এখন নন্দী-ভৃঙ্গীর সঙ্গী
হাওড়ার মুখ্য পুরপ্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, যত্রতত্র বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। হোল্ডিং নাম্বার ধরে সার্চ করলেই তৎক্ষণাৎ নির্মীয়মাণ বাড়ির অনুমোদনের তথ্য পাওয়া যাবে। নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে পুরসভা বদ্ধপরিকর। নির্মীয়মাণ বাড়ির অনুমোদন এখন পুরোপুরি অনলাইনে হওয়ায় অনুমোদনের সংখ্যা বেড়েছে। যেখানে ২০২৩-২৪ সালে পুর এলাকায় ৯৪টি বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই সংখ্যা বেড়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত হয়েছে ১৮১টি। পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২১-২২ সালে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন থেকে বিচ্যুত হয়েছিল ৪৪৯টি, ২০২২-২৩ সালে ৩৬৪টি, ২০২৩-২৪ সালে ৫৬৫টি বাড়ি। সেই জায়গায় চলতি অর্থবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫৭টি বাড়ি নিয়ম-বহির্ভূতভাবে তৈরি হয়েছে। এগুলি ভাঙার ব্যাপারে উদ্যোগও নিচ্ছে পুরসভা। ২০২৩-২৪ সালে ১০৭টি বেআইনি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। এবছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪০টি বেআইনি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। বেআইনি বাড়ির তালিকা তৈরি করে সেগুলি সবই ভাঙা হবে। এই জন্য কর্মী-সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন বেআইনি বাড়ি ভাঙার জন্য পুরসভার দুটো দলে ১৬ জন সদস্য ছিল। সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ি ভাঙার সমস্ত ছবি ভিডিও রেকর্ডিং করার পাশাপাশি এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পুরসভার ‘পুরবীক্ষণ’ অ্যাপে ‘আপলোড’ করা হবে। নির্মীয়মাণ বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন ছাড়া তৈরি হতে দেখলেই পুরসভার তরফে তৎক্ষণাৎ এফআইআর করা হবে। মুখ্য পুর প্রশাসক বলেন, বেআইনি বাড়িকে জরিমানা দিয়ে বৈধ করার ব্যবস্থা হাওড়ায় নেই। নিয়ম বর্হিভূতভাবে বাড়ি তৈরি হতে দেখলেই তৎক্ষণাৎ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।