সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : হাওড়া শহরের ভাগাড়ে জমা বর্জ্য থেকে তৈরি হবে সার, জ্বালানি। এই ব্যাপারে হাওড়া কর্পোরেশনের উদ্যোগে বেলগাছিয়া ভাগাড় চত্বরে ১৭ একর জায়গা জুড়ে বায়ো-মাইনিং শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এলাকাটিকে ঘিরে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই ভাগাড়ের পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যকে আলাদা করা হবে।
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল
তারপর তাকে পূর্ণব্যবহার করে জ্বালানি, সার, বায়ো গ্যস প্রভৃতি তৈরি করা হবে। কীভাবে কাজ হবে এবং ঠিক কোন এলাকাটায় গড়ে উঠবে বায়ো মাইনিং প্রকল্পটি তা চূড়ান্ত করতে হাওড়া পুরনিগমের প্রশসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বেলগাছিয়া ভাগাড় পরিদর্শন করেন। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন হাওড়ার পুরকমিশনার ধবল জৈন, প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাপি মান্না, মনোজিৎ রাফেল প্রমূখ।
আরও পড়ুন-
এই বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বর্জ্য থেকে এলাকার নিকাশির সমস্যাও হচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধানে নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। এরপরই ভাগাড়ে জমা বর্জ্য ও আবর্জনা থেকে সার ও বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রতিদিন বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ৭০০-৭৫০ মেট্রিক টন আবর্জনা জমা হয়। প্রতিদিনই এই আবর্জনা থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যসামগ্রী পৃথক করা হবে। সৈকত চৌধুরি জানান, ‘বায়ো মাইনিংয়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এর জন্য দরপত্র চাওয়া হয়ে গেছে। বায়ো মাইনিং করে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা পৃথক করে তা থেকে সার, জ্বালানি শুরু হয়ে গেলে ভাগাড়ের সমস্যা পাশাপাশি এলাকার নিকাশি সমস্যারও স্থায়ী সমাধান হবে।’ হাওড়া কর্পোরেশনের এই উদ্যোগে বেজায় খুশি শহরবাসী।