প্রতিবেদন : শোভাবাজার রাজবাড়ি হোক কিংবা হাতিবাগান সর্বজনীন অথবা কুমোরটুলি পার্ক, সপ্তমীর সকাল থেকে ভিড়টা আছড়ে পড়ছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে শুধু ভিড় রইল না, পরিণত হল জনসমুদ্রে। শুধু উত্তর কেন, মধ্য কলকাতা, পূর্ব কলকাতা, সল্টলেক, দক্ষিণ কলকাতা, বেহালা, হরিদেবপুর, ঠাকুরপুকুর, কসবা, গড়িয়া, নাকতলা—এক কথায় টালা থেকে টালিগঞ্জের প্রতিটি রাস্তা, প্রতিটি কোনায় সুনামির মতো ভিড়টা আছড়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন-‘মায়ের চোখে মাতৃদর্শন’, উদ্যোগী যুব তৃণমূল
বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলেও তা এখনও পর্যন্ত বঙ্গবাসীকে দমাতে পারেনি। অষ্টমীতে নাকি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। নবমী, দশমীতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তাতে কী! থিমের পুজো থেকে সাবেকি প্রতিমা—প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। সঙ্গে কোথাও মেলা বসেছে, কোথাও আবার দেদার খানাপিনার আয়োজন। এই সময়টায় নামীদামি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে কলকাতা স্ট্রিট ফুড, ফাঁকা নেই কোথাও। ঘামতে ঘামতে বন্ধুবান্ধব, পরিজনদের নিয়ে ঠাকুর দেখার পর পেটপুজো না হলে চলে! অতএব বাঙালি এখন রাতের দিকে, কখনও বা দুপুরে লাইন দিচ্ছে রেস্টুরেন্টের দরজায়। আজ মহাষ্টমী। সকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে মণ্ডপে মণ্ডপে অঞ্জলির পালা। সেসব সেরে ফের বাঙালি রাস্তায় নেমে পড়বে দুর্গা দর্শনে। এইতো মাত্র ক’টা দিন। সবটুকু আনন্দ চেটেপুটে না নিলে কি আর হয়!