পাশে বজরং-সাক্ষী-সহ অনেকেই, বিমানবন্দরে মানুষের ঢল

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায়ে রুপো হাতছাড়া হলেও বিনেশ-বরণে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটল। যা দেখে কান্না চেপে রাখতে পারেননি বিনেশ নিজেও।

Must read

নয়াদিল্লি, ১৭ অগাস্ট : দেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে চোখের জলে ভাসালেন বিনেশ ফোগট। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের রায়ে রুপো হাতছাড়া হলেও বিনেশ-বরণে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটল। যা দেখে কান্না চেপে রাখতে পারেননি বিনেশ নিজেও।

আরও পড়ুন-কালীঘাটকে সমীহ ডায়মন্ড হারবারের

শনিবার দিল্লি বিমানবন্দরে বিনেশকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দুই প্রতিবাদী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বড় সংখ্যক ক্রীড়াপ্রেমী। ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বিনেশকে। কোলে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। সেই সময় ক্রমাগত বেজে গিয়েছে ঢাক-ঢোল। অলিম্পিক থেকে খালি হাতে দেশে ফেরার পরেও এমন অভ্যর্থনা পেয়ে চোখের জল সামলাতে পারেননি বিনেশও। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সেই সময় তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গিয়েছে বজরং ও সাক্ষীকে।
আবেগবিহ্বল বিনেশ নিজেকে কিছুটা সামলে নেওয়ার পর বলেন, ‘‘আমি গোটা দেশের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সৌভাগ্যবান যে, দেশের ফেরার পর এত মানুষের ভালবাসা পেলাম। এই ভালবাসা আমার কাছে এক হাজার সোনার পদকের থেকেও বেশি মূল্যবান। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’’ বিনেশের সঙ্গেই এদিন দেশে ফিরেছেন প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় দলের শেফ দ্য মিশন গগন নারাং। যিনি লন্ডন অলিম্পিকে শ্যুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গেমস ভিলেজে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এসেছিল বিনেশ। আর চ্যাম্পিয়নই থেকে যাবে। কখনও কখনও অন্যদের অনুপ্রেরণা হওয়ার জন্য অলিম্পিক পদকের প্রয়োজন হয় না। বিনেশ, তুমি আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। তোমাকে সেলাম।’’

আরও পড়ুন-ধর্ষিতার মৃত্যু যোগীরাজ্যে, সাড়ে ৭ মাস পরও অধরা অভিযুক্ত

এদিকে, অলিম্পিক পদক হাতছাড়া হওয়ার পরেই অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন বিনেশ। যদিও গতকালই ভারতীয় কুস্তিগির এক বার্তায় জানিয়েছেন, ২০২৮ অলিম্পিক তো বটেই, তিনি ২০৩২ অলিম্পিক পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান। কঠিন সময়ে মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনেশের মা প্রেমলতা ফোগটও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের তো বটেই, আশেপাশের অঞ্চল থেকেও বিনেশকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর মানুষ। ও আমার কাছে চ্যাম্পিয়ন। আমরা ওকে সংবর্ধনা দেব। সরকারেরও উচিত বিনেশকে অলিম্পিকে সোনাজয়ীর সম্মান দেওয়া।’’ বিনেশের স্বামী কুস্তিগির সোমবীর রাঠি বলেছেন, ‘‘বিনেশ যেভাবে গোটা দেশের ভালবাসা পেয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত। অথচ সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন আমাদের সঙ্গে ছিল না। তাহলে একজন খেলোয়াড় কীভাবে পারফর্ম করবে!’’

Latest article