দেবনীল সাহা: উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, জনতার স্রোত শুধুই কলকাতামুখী। সব রাস্তাই শেষ হয়েছে ধর্মতলায়। একুশের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত দু’দিন ধরে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় রাখার ব্যবস্থা হয়েছে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের। আজ রবিবার শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে সকলেই হাজির হবেন ধর্মতলায়। আজ সকাল থেকেই এই অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি থেকে একের পর এক বাস আসতে শুরু করবে সমাবেশস্থলের দিকে। এছাড়াও কাছাকাছি জেলার যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও ভোর থেকেই জায়গা নিয়ে নেবেন ধর্মতলার একুশের মঞ্চের সামনে। ভিড়ের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে এবারের একুশে জুলাই।
আরও পড়ুন-কুৎসা-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ের নাম তৃণমূল কংগ্রেস
সব মিলিয়ে একুশের আবেগে ভাসছে গোটা বাংলা। সবদিক মাথায় রেখে শহরের একাধিক জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন না, তাঁরা জায়ান্ট স্ক্রিনেই নেত্রীকে দেখবেন, তাঁর কথা শুনবেন। শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা শহরে আসতে শুরু করেছেন। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে দলের তরফে। শনিবার সকাল থেকে সব ক’টি জায়গায় শুধুই জনস্রোত। সল্টলেকে মন্ত্রী সুজিত বসু, গীতাঞ্জলিতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলর ও ছাত্র-যুব নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে চলছে সবকিছুর তদারকি। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে মূলত উত্তরের জেলাগুলি থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাঞ্জলিতে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কর্মী-সমর্থকদের জন্য হয়েছে ব্যবস্থা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে জঙ্গলমহল থেকে আসা (বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর) মানুষদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি জায়গাতেই রয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স।