প্রতিবেদন : তিনদিনের সুন্দরবন সফর সেরে তিনি টাকি থেকে ফিরবেন কলকাতায়। টাকি শহরের এরিয়ান ক্লাবের মাঠে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। গোটা শহর জানে তিনি গত দুদিন সুন্দরবন চষে ফেললেও থেকেছেন ইছামতীর তীরে টাকিতেই। বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই গোটা টাকি শহরে খবর হয়ে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলা ১২টায় এরিয়ান মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে উঠবেন। তখন ১০টাও বাজেনি। এরিয়ান মাঠের গ্যালারিতে একটু একটু করে মানুষ আসতে শুরু করেন। ১১টাতেই গ্যালারি ভর্তি। তখনও পিল-পিল করে টাকির মেয়ে-বউ-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-স্কুলপড়ুয়ারা ঢুকছে এরিয়ান মাঠে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে যেন জনসভায় মানুষ ঢুকছে। তবে এ-ভিড় অর্গানাইজড নয়। লরি-বাসে করে আনা নয়। এ-হল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত। তাঁদের প্রিয় দিদিকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য, তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য প্রবল আকুতি। তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! জনতাকে সামলাতে হিমশিম অবস্থা পুলিশের।
আরও পড়ুন-কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের জায়গা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এটিসির সময় মেপে ঠিক বেলা ১টায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় এরিয়ানের ১নং গেট দিয়ে ঢুকছে তখন হাততালি আর ‘দিদি’ চিৎকারে কান পাতা দায়। সামনের আসন থেকে সাদা শাড়ি পড়া চেহারাটা নেমে আসতেই সমুদ্রগর্জন শুরু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিমায় প্রায় গোটা মাঠ ঘুরে সকলকে হাত জোড় করে নমস্কার ও অভিনন্দন জানালেন। তখন চলছে জনতার হাতনাড়া আর মুঠোফোনে এই মুহূর্তকে ধরে রাখার অসীম প্রয়াস। তিনি হেলকপ্টারে ওঠার পর তা আকাশে উড়ে যাওয়া পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে আমজনতা। হেলিকপ্টার চোখের আড়ালে যাওয়ার পর তবে গ্যালারি থেকে নামতে শুরু করল জনতা। আর সেই ভিড়রে অবরুদ্ধ হল ইছামতীর মিষ্টি জনপদ টাকি। সকলের মুখে তখন তৃপ্তির হাসি। দিদিকে তো দেখা হল কাছ থেকে!