প্রতিবেদন : বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও তীব্র করছে তৃণমূল। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ, বুধবার বিধানসভায় কালো পোশাক পরে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা। বিজেপির কাছ থেকে জবাব চাইবেন, কেন ঘৃণ্য চক্রান্তে বাংলার মানুষের ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা হয়েছে। কলকাতায় ভাষণ দিতে আসছেন অমিত শাহ। তাঁর কাছেও জবাব চাইবে তৃণমূল। সাফ কথা, বাংলায় এসে মিথ্যের ফুলঝুরি না ছুটিয়ে বকেয়া মেটান। একইসঙ্গে বিধানসভায় চলবে ধরনাও। মঙ্গলবার থেকে বি আর আম্বেদকর মূর্তির নিচে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ, বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় তৃণমূল বিধায়করা
বাংলার টাকা না দিলেও বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যের বেসাতি চলেছেই। শুধুই দেশবাসীকে বোকা বানানোর খেলা চলছে। সঙ্গে চলছে দেশকে লুটে নেওয়ার নানা ফন্দি-ফিকির। এর বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে দলের বক্তব্য, দেশের ১ নম্বর লুটেরা। দেশের একের পর এক লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে বাড়ছে বেকারত্ব, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আত্মকেন্দ্রিক চটকদার, চমকদার প্রচারে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ফুলেফেঁপে উঠছে শুধু বিজেপির কোষাগার।
আরও পড়ুন-সৈয়দ মোদি টুর্নামেন্ট শুরু, লখনউয়ের কোর্টে পাখি
যদি পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বিমাতৃসুলভ আচরণ। ১০০ দিনের কাজ করেও কয়েক লক্ষ প্রান্তিক-গরিব মানুষ তাঁদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছেন না। আটকে দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনার টাকাও। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বাংলার গরিব মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অথচ, বাংলা থেকে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে দিল্লি। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদি এ রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করলেও লুটেরার অভিনয়ে ভোলেনি বাংলার রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। তাই বাংলার প্রাপ্য বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-আজ থেকে ফের শুরু বিধানসভার অধিবেশন
অন্যদিকে, তৃণমূল নিজেদের সাধ্যমতো বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, বাংলার ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া এখনও আটকে রেখেছে কেন্দ্র! সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ, ভারতের পয়লা নম্বর লুটেরা হওয়া বন্ধ করুন।
এদিন তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি দিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী একটি সাইকেলে বসে পোজ দিচ্ছেন। ঠিক যেন সিনেমার পোস্টার। সেখানে বিজেপিকে ব্যঙ্গ করে লেখা হয়েছে ভারতীয় জুমলা পার্টি। যারা চিত্রনাট্যকে তুলে ধরছে। প্রোডাকশনের দায়িত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ‘লুটেরা’ চিত্রনাট্যের মুখ্য চরিত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই চিত্রনাট্যের পরিচালক।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের নামে হিমালয়-নিধন বন্ধ হোক
তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখে। বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী কথা দেন না-রাখার জন্যই। গত ৯ বছরে কথা না রাখার বা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে। নির্বাচন এলেই নিজের ব্র্যান্ডিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। নিজেকে দেশের মসিহা হিসেবে তুলে ধরতে কসুর করেন না। একের পর এক মিথ্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেন। দেশবাসী এখন জেনে গিয়েছেন দেশকে রক্ষার বদলে লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে মোদি সরকার। আমজনতা মুক্তি চাইছেন এই দমবন্ধ অবস্থা থেকে।