প্রতিবেদন : শুরু হয়ে গেল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। আর প্রথমদিনই এই কর্মসূচিকে ঘিরে পাঁশকুড়ায় বিপুল সাড়া। পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গোবিন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন সকাল থেকে জনসংযোগ সারলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সারাদিন জনসংযোগ, জনসভা, কর্মিসভাও করেন তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্কুল, ঘুরলেন সব জায়গায়। দুপুরে এক কর্মীর বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার পর স্থানীয় এক কর্মীর বাড়িতেই রাত কাটালেন তিনি।
আরও পড়ুন-ফের রাম-বাম বিক্ষোভ
সকালে কংসাবতী নদীর ধারে মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন কুণাল। জনসংযোগের ফাঁকে প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ওমর আলির সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধাও জানান। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুদীপ রায়, পঞ্চায়েতের অন্যতম পদাধিকারী হানিফ মহম্মদ-সহ অন্যরা। কুণালকে সামনে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না খুঁটিয়ে সেসবের খোঁজ নেন কুণাল। কর্মিসভায় কর্মীদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচারে জোর দিতে বলেন।
আরও পড়ুন-সময়ে বাড়ি নির্মাণ হলেই পুরস্কার
এক জায়গায় কয়েকজন মহিলা খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই খোঁজ নেন কুণাল। দেখা যায় ওটা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের এলাকা। শুভেন্দু অধিকারীর আমলে কাজ শুরু হলেও পরে ঠিকাদার চলে যায়। ফোনে তিনি যোগাযোগ করেন পর্ষদের বর্তমান প্রধান জ্যোতির্ময় করের সঙ্গে। তিনি রাস্তার কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন। কুণালের আশ্বাস পেয়ে খুশি বাসিন্দারা। পরে তিনি একটি স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। এক পড়ুয়া আবৃত্তি করেও শোনায়। সব মিলিয়ে গোটা এলাকায় জনসংযোগে দারুণ সাড়া মেলে।