নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : সংসদ ভবনের মাথায় বসানো নতুন জাতীয় প্রতীক নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। হিংস্র, দাঁত বের করা সিংহমূর্তিকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা এবং কটাক্ষের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবার থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনেও এই ইস্যুতে ঝড় উঠতে পারে। বিরোধীদের অভিযোগ, যে হিংস্র সিংহের মূর্তি জাতীয় প্রতীক হিসাবে বসানো হয়েছে তা আসলে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির হিংস্রতারই প্রতীক।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার নতুন সংসদ ভবনে প্রতিষ্ঠিত অশোকস্তম্ভের বিকৃতির প্রতিবাদ করে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার (MP Jawahar Sircar)। নতুন জাতীয় প্রতীক নিয়ে একাধিক প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত জবাব চেয়েছেন তিনি। প্রযুক্তির যুগে নতুন অশোকস্তম্ভ বসানোর আগে থ্রি ডাইমেনশন কম্পিউটারাইজড ইমেজিংয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি (MP Jawahar Sircar)। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অশোকস্তম্ভ তৈরির আগে তা দিল্লির আরবান আর্ট কমিশন এবং হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটির ছাড়পত্র পেয়েছে কি না সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। চিঠি দিয়ে জহর সরকার দাবি করেছেন, সারনাথের প্রকৃত অশোকস্তম্ভের সঙ্গে নতুন সংসদের অশোকস্তম্ভকে থ্রিডি কম্পিউটারাইজড ইমেজিংয়ের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হোক। চিঠিতে তিনি বেঙ্গালুরুর উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, গত ৬৫ বছর ধরে বেঙ্গালুরুর বিধানসৌধতে যে জাতীয় প্রতীক বসানো হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি। তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি জাতীয় প্রতীক নিয়ে কেন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে? কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রাক্তন আমলার পরামর্শ, বেঙ্গালুরুর জাতীয় প্রতীক নিয়ে কেন বিতর্ক তৈরি হয়নি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত কেন্দ্রের। জহর সরকার বলেন, জাতীয় প্রতীককে বিকৃত করার অর্থ জাতিকে অসম্মান করা।
আরও পড়ুন: যশোবন্ত সিনহাকেই সমর্থন করবে আপ