প্রতিবেদন: গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তর ভারতের (Heavy Rains- North India) একাধিক রাজ্যে। বন্যা, হড়পা বান ও ধসের কারণে উত্তর ভারতে এ পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশেই প্রাণ গিয়েছে ৭২ জনের। উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। সোমবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় লাল ও হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আজ গণনা, দলের এজেন্টদের বার্তা
গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rains- North India) সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। ধস ও হড়পা বানের কারণে গাড়ি রাস্তা সেতু দোকানপাট সমস্ত ভেসে গিয়েছে হিমাচলে। ক্ষতি হয়েছে বিপুল পরিমাণ চাষের জমির। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রামগড়ে জলের স্রোতে একটি যাত্রীবাহী বাস ভেসে যাচ্ছে। হিমাচল প্রদেশের কুলু, কিন্নর এবং ছাম্বাতেও হড়পা বানে বেশ কিছু যানবাহন ভেসে গিয়েছে। মান্ডির পঞ্চবক্তা সেতুও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু আগামী ২৪ ঘণ্টা মানুষকে জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই রাজ্যে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতদ্রু ও বিতস্তা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রবল বৃষ্টি চলছে জম্মু ও কাশ্মীরেও। একটানা বৃষ্টিতে বিপদ সীমা ছুঁয়েছে যমুনার জল। অবিরাম বৃষ্টি চলতে থাকলে দিল্লিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ বন্যা কবলিত হতে পারে বলে আশঙ্কা। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। হরিয়ানার হাতনিকুণ্ড জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৫ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। ফলে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। এরই মধ্যে যোগী সরকার জানিয়েছে গত চার দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সে রাজ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মৌসম ভবন জানিয়েছে, চলতি বর্ষার শুরুতেই উত্তরপ্রদেশে ১১ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। ফলে গঙ্গা, যমুনা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজ্যের ৬৮টি জেলায় চলছে ভারী বৃষ্টি।