প্রতিবেদন: বছর চারেক আগে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। সন্তান ছেলে হবে কি না জানতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট হাঁসুয়া দিয়ে কেটেছিল স্বামী পান্নালাল। দু’দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও গুরুতর জখম মহিলার গর্ভে থাকা সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পুত্রসন্তানই জন্ম নিত আর পাঁচ সপ্তাহ পরে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পান্নালালকে উত্তরপ্রদেশের আদালত আজীবন কারাবাসের দণ্ড দিয়েছে।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে বাংলাদেশ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছেলের আশায় থাকলেও পরপর পাঁচটি মেয়ে হয়েছিল পান্নালালের। তাই ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারেনি সে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে দেখার চেষ্টা করে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে। এই পাশবিক ঘটনার পরে গ্রেফতার করা হয় পান্নালালকে। স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বরেলীর সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার নেকপুরে স্ত্রী ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে থাকত পান্নালাল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়েই হাসপাতালে যান স্ত্রীর পরিবারের লোকেরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পরপর পাঁচ মেয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত পান্নালাল। এবার ছেলে চেয়েছিল সে। কিন্তু আগে থেকে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই স্ত্রীর পেট কেটে সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করেছে সে। পরিবারের তরফেই থানায় পান্নালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবার বেআইনি কাজ ও চরম নৃশংসতার শাস্তি পান্নালালকে দিল আদালত।