বিকল্প হিসেবে লালবাগে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সংকর প্রজাতির কুলচাষ

গত কয়েক বছরের মধ্যে বিকল্প হিসেবে লালবাগ মহকুমায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সংকর প্রজাতির কুলচাষ।

Must read

সংবাদদাতা, লালবাগ : গত কয়েক বছরের মধ্যে বিকল্প হিসেবে লালবাগ মহকুমায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সংকর প্রজাতির কুলচাষ। ঝুঁকি কম ও লাভজনক হওয়ায় এই চাষে কৃষকদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। লালবাগ মহকুমার ভগবানগোলা, লালগোলা থানার বিভিন্ন এলাকায় ভারতসুন্দরী, আপেল, এলাচ ও চেরি এই চার ধরনের সংকর প্রজাতির কুলচাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষিদের কাছে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। চিরাচরিত ধান, পাট, গম ও সবজিচাষের পাশাপাশি ভাগ্য ফেরাতে নতুন করে কুলচাষ শুরু করছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন-সুন্দরবনের উপকূল রক্ষায় ৪১০০ কোটি টাকার ‘শোর’ প্রকল্প, প্রযুক্তিগত সহায়তায় নেদারল্যান্ডস

মুর্শিদাবাদ জেলা উদ্যানপালন দফতরের এক কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে আপেল, ভারতসুন্দরী প্রভৃতি সংকর প্রজাতির কুল প্রথম থেকে বাজার দখল করে নেয়। রঙ ও সাইজের জন্য ক্রেতারা সহজেই আকৃষ্ট হন। প্রথম বছরে খরচ একটু বেশি হলেও পরবর্তী বছরে খরচ অর্ধেকেরও কম হয়। আবহাওয়ার হেরফেরে ফলন কম হলেও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ঠিকমতো পরিচর্চা করলে একটি গাছ থেকে ১০-১২ বছর পর্যন্ত ফলন মেলে। কুলচাষিরা বলেন, প্রথম বছর এক বিঘা জমিতে ১০-১২ ফুট অন্তর প্রায় ১৫০টি কলম চারা লাগানো হয়। কলম, জলসেচ, কীটনাশক, লেবার-সহ খবচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। তবে পরের বছর থেকে খরচ কমে দাঁড়ায় বিঘা-প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা। প্রথম বছর প্রতি গাছ থেকে মেলে ২০-২৫ কেজি কুল। পরের বছর থেকে প্রতিটি গাছ থেকে ৭৫-৮০ কেজি ফল পাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদের কুর্মিটোলার বিশ্বনাথ বিশ্বাস পাঁচ বছর ধরে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে এই কুল চাষ করছেন। তিনি বলেন, প্রথম দিকে আমদানি কম থাকায় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কুলের দাম ২৫-৩০ টাকা করে পেয়েছি। পরে জোগান বাড়ায় তা ১০-১৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে। তা সত্ত্বেও এক বিঘা জমিতে কুলচাষ করে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ হয়।

Latest article