শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি আজকের যুগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জীবনে চলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু বার্তা দিলেন। এদিন তিনি বিরোধীদের নিশানা করতেই ছাড়েন নি। তবে শুধু তাই নয়, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সাথে।
আরও পড়ুন-‘একটা ভুল হয়ে গিয়েছে’, নিয়োগ-কাণ্ড নিয়ে দুঃখপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা দিলেন ‘নৈতিক চরিত্র গড়ার’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষক দিবসে আপনাদের (শিক্ষকদের) সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আপনাদের দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। আমাদের প্রণাম, সালাম, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভাল করে ইংরেজি শিখুন, সেই সঙ্গে সব ভাষা শিখুন। বাবা-মায়েরা হয়তো অনেক কিছু দিতে পারেননি, কিন্তু মানুষের মতো মানুষ তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন রকম উপদেশ দিয়েছিলেন। বাবা-মা, শিক্ষকদের সেই উপদেশে আজও পথ চলছি।’
আরও পড়ুন-‘শিক্ষকরা আমাদের গর্ব, বাইরে লেখাপড়া করে, সবাই এখানে ফিরে আসুক’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজের ছাত্রজীবনের রাজনীতি নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘১৯৯৫ থেকে আমি বই লেখা শুরু করেছি। আমার প্রায় ১২৫টা বই প্রকাশিত হয়েছে। আমি উর্দু, রাজবংশী, সাওতালি ভাষাতেও লিখেছি। সেখান থেকে রাজনীতির অনেক তথ্য নিতে পারেন। রাজনীতি করতাম বলে কলেজে ক্লাস করতাম না। শিক্ষকরা ডেকে নিয়ে গিয়ে ক্লাস করাতেন।আমি যখন সাংসদ হয়েছিলাম, তখন আমার বয়স কম ছিল। তখন থেকেই বিভিন্ন ঘটনা লিখেছি বইয়ে।সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বক্তৃতা দিতে ডাকে। সব সময় আমি যেতে পারি না। কিছুক্ষেত্রে আমাকে যেতে দেওয়া হয় না। সে ঠিক আছে।সব মণীষীদের আজকের দিনে সম্মান জানাচ্ছি। ছাত্র, যুব, শিক্ষক ঐক্য জিন্দাবাদ।’
আরও পড়ুন-বিরাট-মঞ্চে নায়ক সেই রিজওয়ান
আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের তরফ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। ওখানকার শিক্ষকদেরও সম্মান জানাই।বাচ্চাদের বলব আরও এগিয়ে চলো। চল চল চল ঊর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল।’