মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পরিস্থিতি এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আজ, সোমবার মুর্শিদাবাদে যাওয়ার আগে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করেই বলেন, ”আমি অশান্তি বা হিংসা সমর্থন করি না।”
আরও পড়ুন-ডুবে যাওয়ার ৫ দিন পর উদ্ধার ট্যুরিস্ট বোট, রয়েছে ২ জনের মৃতদেহ
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘’মুর্শিদাবাদে আমি আগেও যেতে পারতাম। কিন্তু যতক্ষণ না সেখানে অস্থিরতা কাটছে, শান্তি ফিরছে ততদিন যাওয়া ঠিক না বলে আমি মনে করি। যদিও সেখানে বহুদিন আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে কিন্তু আমার জগন্নাথ ধামের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান মিটিয়ে আজ আমি মুর্শিদাবাদ যাচ্ছি। আজ আমি বহরমপুর পৌঁছব। কাল ধূলিয়ানে যাব। আমি জানি সেখান থেকে সবাইকে নিয়ে চলে এসেছে। ২টো পরিবার ছিল তাদের নিয়ে চলে এসেছে। কোনও ব্যাপার নয়। এটা যার যার মর্জি। ওরা আগে গিয়ে টাকাও দিয়ে এসেছে। আমাদের সরকারেরও দেওয়া উচিত। আমি দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কেউ যদি না নেয়, না থাকে, সেটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু যারা আসবেন তাঁদের সঙ্গে আমি কথা বলব, তাঁদের অভিযোগ শুনব। তাদের বাংলার বাড়ি করে দেব। যাদের দোকান ভাঙচুর হয়েছে তাদেরও কিছু সাহায্য করব।”
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে রক্তারক্তি, মৃত ২ কিশোর
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক হিংসার পর এই প্রথম মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বহরমপুরে পৌঁছে আজ সোমবার সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তিনি ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জে এবং সুতিতে যাবেন। বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামবে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা একাধিক বৈঠক করে সব কিছু খতিয়ে দেখছেন। রবিবার থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়েছে বহরমপুর শহর জুড়ে। উল্লেখ্য, সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে জঙ্গিদের হাতে নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছে।