দুবাই, ৪ মার্চ : চেজমাস্টারের ভূমিকায় কেন তিনি এত সফল, কেন তাঁর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন বিরাট কোহলি। কার্যত তাঁর চওড়া ব্যাটেই ৪৭১ দিন পর আমেদাবাদের বদলা দুবাইয়ে। বিশ্বকাপের বদলা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। রান তাড়া করে ৮০০০ রান এবং ওয়ান ডে-তে সর্বাধিক ক্যাচের রেকর্ডও গড়লেন। ভারতকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা নিলেও শতরান হাতছাড়া করার কোনও আপশোস নেই বিরাটের।
আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউটে চাপের মুখে এটাই কি সেরা ইনিংস? ম্যাচ শেষে কিং কোহলি বললেন, ‘‘জানি না। আমি এসব নিয়ে খুব একটা ভাবি না। মাইলস্টোন নিয়ে না ভাবলেই সেগুলো ঘটে। ভাল লাগত যদি আমি তিন অঙ্কের রান করতাম। কিন্তু সেঞ্চুরি নয়, দলের জয় গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মাইলস্টোন, রেকর্ডের কোনও গুরুত্ব নেই।’’
আরও পড়ুন-বিরাট ব্যাটে আমেদাবাদের জবাব, ফাইনালে ভারত
বিরাট জানালেন, পাকিস্তান ম্যাচের মতোই পরিস্থিতি ছিল সেমিফাইনালে। বললেন, ‘‘পাকিস্তান ম্যাচের মতোই পরিস্থিতি বুঝে খেলতে হয়েছে। স্ট্রাইক বদলে পার্টনারশিপ গড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরিবেশ, পরিস্থিতি বুঝে সেই অনুযায়ী আমি ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাই। টেকনিক, টাইমিংয়ে জমাট থাকাটা খুব জরুরি। তাড়াহুড়ো করলে চলে না। ম্যাচে সিঙ্গলস নেওয়াটা আমার কাছে দারুণ তৃপ্তিদায়ক।’’ নক আউট ম্যাচ মানেই চাপের খেলা। বিরাটও মানছেন সেটা। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ম্যাচে সবসময় চাপ থাকে। যদি শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ বের করতে হয় তাহলে প্রতিপক্ষ সুযোগ দেবেই। তাই গুরুত্বপূর্ণ হল, নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা। এমনকী ওভার প্রতি ৬ রান দরকার থাকলেও আমি কখনও বিচলিত হই না।’’
অধিনায়ক রোহিত শর্মা গোটা দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বললেন, ‘‘শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছুই নিশ্চিত ছিল না। আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের দলে অভিজ্ঞ অনেকেই রয়েছে। রান তাড়া করার সময় আমরা নিজেদের শান্ত রেখেছিলাম। আমাদের ব্যাটিং গভীরতা ছিল। যারা এই দলে রয়েছে প্রত্যেকের কৃতিত্ব। খুব চাপের একটা টুর্নামেন্ট। আপাতত একটু রিল্যাক্স করব। এরপর ফাইনাল নিয়ে ভাবব।’’