প্রতিবেদন : রবিবার তৃতীয় দফায় উত্তরপ্রদেশে ৫৯টি বিধানসভা আসনে ভোট নেওয়া হল। তৃতীয় দফা নির্বাচনের মাঝেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) বললেন, প্রথম দু’দফার ভোটেই তাঁর দল আসন প্রাপ্তিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। পরের দুই দফা ভোটের পর তাঁর দল অন্য দলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন – ঘরবন্দি সোনু
রবিবার রাজ্যের ১৬টি জেলায় যে ৫৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হল তার মধ্যে ২০১৭ সালের নির্বাচন মাত্র ৯টি আসনে জিতেছিল সপা। অধিকাংশ আসন গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। কিন্তু এদিন আত্মবিশ্বাসী অখিলেশ জানালেন, চলতি বিধানসভা ভোটে ৫৯টি আসনের বেশিরভাগই পাবে তাঁর দল। কেন তিনি এই আশা করছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অখিলেশ (Akhilesh Yadav)। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে সবথেকে বেশি কর্মহীন বেকার আছে। লকডাউনের সময় বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী এবং যন্ত্রণাক্লিষ্ট শ্রমিকদের বেশিরভাগই এই সব অঞ্চলের। এই সমস্ত শ্রমিকদের কথা, বেকার যুবকদের কথা একবারও ভাবেনি বিজেপি। ক্ষমতায় এসে সব প্রতিশ্রুতি ভুলেছে। তাই এবার তাঁরা সকলেই বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। একইসঙ্গে অখিলেশ অভিযোগ করেছেন, বুন্দেলখণ্ডের উন্নয়নে কিছুই করেনি যোগী সরকার। বরং এই এলাকাকে পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনে ভেঙে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সর্বত্রই অনুন্নয়নের ছায়া প্রকট। বিজেপির ভোট চাওয়ার মতো কোনও মুখ নেই। সে কারণেই এবার বিজেপিকে গর্তে ঢুকিয়ে দেবে মানুষ।
উত্তরপ্রদেশের চলতি নির্বাচনে কোন দল শেষ হাসি হাসবে ১০ মার্চ সেটা স্পষ্ট হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, বিজেপি শিবিরকে এবার এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন অখিলেশ ও তাঁর দল সপা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেই কৃষক আন্দোলন সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছিল। সেখানে বিজেপির অবস্থা খুবই করুণ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা ধরে রাখতে মেরুকরণকেই শেষ ভরসা হিসেবে বেছে নিয়েছে বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব বিজেপি নেতাই পরিকল্পিত কায়দায় সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলছেন।