বৃহস্পতিবার পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে টেন্টেড নন এমন নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তারা চলতি বছরে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করবে। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে যদিও এই রায় প্রযোজ্য নয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত শুক্রবার বিকাশ ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন। তারপরেই ব্রাত্য বসু জানান, চাকরিহারাদের দাবিগুলির সঙ্গে তাঁর মৌলিক কোনও বিরোধ নেই। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, তাই আইনি পরামর্শ ছাড়া কিছু করা যাবে না। আইনি পরামর্শ নিয়েই আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ‘মিরর ইমেজ’ও প্রকাশ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার আবার ব্রাত্য বসু বলেন, তালিকা প্রকাশের বিষয়ে চাকরিহারাদের শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে এসএসসি।
আরও পড়ুন-গেরুয়া রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে রোগীর বদলে বাবার অস্ত্রোপচার
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আপৎকালীন স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। আমাদের জন্য এই রায় আশাব্যঞ্জক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা লড়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আইনি পথে যা করা সম্ভব তার সবটাই করা হবে।” গ্রূপ সি ও গ্রূপ ডির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ”রাজ্য শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাকর্মীদেরও পাশে আছে। আইনি পথে এর পর যে যে ধাপ আছে, তার সবই করা হবে। আগামী ২১ তারিখ, অর্থাৎ সোমবারের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি।”
সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়কে ‘ইতিবাচক’ মনে করেই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘প্রথম দিনের রায়ের পরেও বলেছিলাম, চাকরিহারাদের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক ভাবনার বিষয় রয়েছে। মাঝে কসবায় একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে আজ প্রথম বার সদর্থক পদক্ষেপ দেখা গেল। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন। যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে না দিতে পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপাতত সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে। এখন আন্দোলন স্তিমিত হওয়া উচিত তবে বিরোধীরা সেটা হতে দিচ্ছেন না।’’