মানস ভট্টাচার্য: শুরুতেই বলে রাখি, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ফিরতি সেমিফাইনালে আমি মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখছি। কারণ ম্যাচটা হবে যুবভারতীতে। এবারের আইএসএলে ঘরের মাঠে একটাও ম্যাচ হারেনি জোসে মোলিনার দল। তাছাড়া শক্তির বিচারেও মোহনবাগান অনেকটাই এগিয়ে। প্রথম পর্বে শুভাশিস বোসদের হারকে আমি অঘটন হিসেবেই দেখছি। সেদিন একে তো প্রায় এক মাস পর মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। খেলা দেখে মনে হয়েছিল, কিছুটা হলেও আত্মতুষ্টির শিকার হয়েছিল মোলিনার ছেলেরা।
এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। ফাইনালে ওঠার জন্য জিততেই হবে। তাই মোহনবাগান বাড়তি খিদে নিয়ে ঝাঁপাবে। মোলিনার জন্য ভাল খবর, আপুইয়া ফিট। ওকে পেলে মোহনবাগানের মাঝমাঠ আরও জমাট হবে। পাশাপাশি শুরু থেকেই জেমি ম্যাকলারেনকে মাঠে দেখতে চাই। ম্যাকলারেন অনেক বড় মাপের স্ট্রাইকার। হাফ চান্স থেকেও গোল করে দিতে পারে। গ্রেগ স্টুয়ার্টের সঙ্গে ওর বোঝাপড়াও দুর্দান্ত। তাই আমি চাইব, ম্যাকলারেন-স্টুয়ার্ট জুটি দিয়েই শুরু করুক মোলিনা। তাতে শুরু থেকেই চাপে থাকবে জামশেদপুর। আগের ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করেছিল জেসন কামিন্স। তবে কামিন্স এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস প্রয়োজনে পরে মাঠে নামুক।
কার্ড সমস্যার জন্য রক্ষণের দুই অভিজ্ঞ সৈনিক স্টিফেন এজে ও আশুতোষ মেহেতাকে পাবে না জামশেদপুর। এই সুযোগটা মোলিনার ফুটবলারদের কাজে লাগাতেই হবে। এজের না থাকাটা তো জামশেদপুরের জন্য বিরাট বড় ধাক্কা। এজে শুধু রক্ষণেই ভরসা দিত না। নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে সেটপিসেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠত। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে জাভি হার্নান্ডেজের দিকেও। ও-ই কিন্তু জামশেদপুরের আসল প্লেয়ার। মাঝমাঠ থেকে পুরো খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। দুই উইংয়ে মাপা পাস বাড়ায়। জাভি যদি ঠিকঠাক পাস বাড়াতে না পারে, তাহলে জামশেদপুরের উইং প্লে বন্ধ হয়ে যাবে। এতে মোহনবাগান রক্ষণের কাজটাও সহজ হবে। আপুইয়া ও দীপক টাংরি পালা করে জাভিকে নজরে রাখতে পারে। আপুইয়া ফেরায়, অনিরুদ্ধ থাপার জায়গা সম্ভবত প্রথম দলে হবে না। মনবীর এখনও ফিট নয়। তাই দুই উইংয়ে মোলিনা সম্ভবত লিস্টন ও সাহালকে ব্যবহার করবেন।
আরও একটা কথা। জামশেদপুরের ম্যাচে গ্যালারিতে অবাঞ্ছিত কিছু ঘটনা ঘটেছিল। মোহনবাগান সমর্থকদের মার খেতে হয়েছিল। যা অবশ্যই নিন্দনীয় ঘটনা। আমি চাই, সোমবার ম্যাচটা জিতে যোগ্য জবাব দিক শুভাশিসরা। কারণ ফুটবলে মাঠেই জবাব দিতে হয়। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে আমার আবেদন, সোমবার মাঠে আসুন। প্রিয় দলের সমর্থনে গলা ফাটান। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ক্লাবটার নাম মোহনবাগান, এটা মাথায় রাখতে হবে। জামশেদপুর আমাদের অতিথি। ক্লাবের সম্মান রাখায় দায় কিন্তু সমর্থকদেরও।
ম্যাকলারেনকে আজ শুরুতে চাই
শুরুতেই বলে রাখি, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ফিরতি সেমিফাইনালে আমি মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখছি। কারণ ম্যাচটা হবে যুবভারতীতে।
