চেয়েছিলাম বৈঠক, ওদের লক্ষ্য ছিল নৈরাজ্য, বাম-গুন্ডাদের মিথ্যার জবাব ব্রাত্যর

শনিবারের ঘটনার পর দুঁদে রাজনীতিক ব্রাত্য বলেছেন, গুন্ডামি করার পর মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে এখন মিথ্যাচার করে লাভ নেই। সকলেই বুঝেছেন আসলে কী হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : আমি তো কথা বলতেই চেয়েছিলাম। বলেছিলাম জনা চারেক আসুন, কথা বলব। আমি কোনও ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিতে চাইনি। আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা বলল কথা বলতে হবে ৪০ জনের সঙ্গেই। সেটা হয় নাকি! তার পরের ঘটনা ক্যামেরার সামনে ঘটেছে। সকলে দেখেছেন। যাদবপুরে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যা ঘটেছে তা আসলে নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা। শারীরিক সন্ত্রাস। বর্বরতা। ন্যক্কারজনক।
যাদবপুরে বাম-গুন্ডা এবং লুম্পেনদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একেবারে নিজস্ব মেজাজেই শিক্ষামন্ত্রী তথা ওয়েবকুপার সভাপতি ব্রাত্য বসু। ঘটনার পর শনিবার রাতেই জ্বর এসেছিল। প্রবল ধাক্কা-ধাক্কি, আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকাল থেকেই একের পর এক ফোন, মেসেজ। সকলেই জানতে চান কেমন আছেন শিক্ষামন্ত্রী। এসেছিলেন অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। এলাকার নেতা-কর্মীরা। ফোন করেছিলেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার খবর নিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর নেতৃত্বেই শনিবার রাতে যাদবপুরে মিছিল হয়েছিল। সে-সব তিনি টিভিতে দেখেছেন। তবে শনিবারের ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর স্পষ্ট কথা, পুরো ব্যাপারটায় আমি শকড্। পড়ুয়ারা এধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে, আমি ভাবতেও পারি না। এরা কোন ধরনের পড়ুয়া? যে পড়ুয়া পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে, তার জন্য আমিও উদ্বিগ্ন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী, অধ্যাপকদের আক্রমণ, হামলা এসব কোন সংস্কৃতি?

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এ-সবের মধ্যেও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ফলে কোনও ধরনের মিছিল-মিটিং-প্রতিবাদ করা হবে না। প্রথম লক্ষ্য সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া। কোনও বন্ধ-অবরোধ হবে না। ব্রাত্য শুনেছেন তাঁর গাড়ির সামনে নাকি পড়ে যায় এক পড়ুয়া। আহতও হয়। সে-নিয়ে হরিয়ানায় কৃষকদের উপর বিজেপি মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গও টানা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, প্রথমত গাড়ির সামনে কেউ পড়েনি। যে রক্তাক্ত হয়েছে তাকে এক পড়ুয়া জোর করে নামানোর পর স্কুটিতে লেগে মাথা ফেটেছে। যাঁরা তুলনা টানছেন তাঁরা মনে রাখবেন, বিজেপি রাজ্যে কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির উপর হামলা হয়নি। অধ্যাপকদের মারধর করা হয়নি। গাড়ির ভাঙা কাচ ড্রাইভার আর আমার গায়ে-মুখে পড়েছে। ক্যামেরায় সব স্পষ্ট রয়েছে।
শনিবারের ঘটনার পর দুঁদে রাজনীতিক ব্রাত্য বলেছেন, গুন্ডামি করার পর মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে এখন মিথ্যাচার করে লাভ নেই। সকলেই বুঝেছেন আসলে কী হয়েছে।

Latest article