সর্বত্র জয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে চেয়েছিলাম: বিরাট

সদ্যপ্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক জানাচ্ছেন, দলের সংস্কৃতি বদলানো খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু তিনি অধিনায়ক হওয়ার পর এই সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করেছিলেন।

Must read

নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি : একটা দলের নেতা হওয়ার জন্য কারও ক্যাপ্টেন হওয়ার দরকার পড়ে না। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন অধিনায়ক না থেকেও ভারতীয় দলে ছিলেন, তখনও তিনি যে নেতা ছিলেন না এমন নয়। তখনও তিনি দলকে পরামর্শ দিতেন। বললেন বিরাট কোহলি। তাঁর মতে, জেতা-হারা কারও হাতে নেই! তবে প্রতিদিন আরও ভাল করার তাগিদ অল্প সময়ে তৈরি হয় না। কিন্তু একবার এটা দলের সংস্কৃতির মধ্যে ঢুকে পড়লে থেকে যায়।

আরও পড়ুন-কল্যাণ ঘোষের হাত ধরে হাওড়ায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে ১০০০ কর্মী

দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হারের পর ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেন বিরাট। তার আগে একদিনের দলের নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন কিং কোহলি। ‘ফায়ারসাইড চ্যাট উইথ ভিকে’র একটি এপিসোডে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় সবার আগে এটা দেখতে হবে যে, সামনে কী করার আছে এবং সেগুলো আমি করতে পেরেছি কি না। তবে সবকিছুর একটা সময় থাকে।” এরপর বিরাট বলেছেন, এগিয়ে চলাও কিন্তু লিডারশিপের অঙ্গ। শুধু দেখতে হবে এটাই সঠিক সময় কি না। আসলে সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি। তারপর অধিনায়ক হই। তবে আমার মাইন্ডসেট একই ছিল। যখন দলের একজন সাধারণ প্লেয়ার ছিলাম, তখনও নিজেকে ক্যাপ্টেনের মতোই ভাবতাম।”

আরও পড়ুন-ব্লক হয়ে সুর নরম রাজ্যপালের, কটাক্ষ সাংসদ শান্তনু সেনের

বিরাট আরও যোগ করেছেন, এক্ষেত্রে নিজের সম্পর্কে কী ভাবছেন, সেটা জানা খুব জরুরি। দিনের শেষে ঘাড়ের উপর দায়িত্ব পড়লে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। নিজের কাছে সৎ থাকতে হয়। ‘‘আমি যদি বুঝি যে আমার খেলা ঠিক হচ্ছে না, তাহলে পিছন থেকে কারও ধাক্কা দেওয়ার দরকার নেই। নিজেই সেটা বুঝতে পারব।” বক্তব্য বিরাটের। তিনি মনে করেন যোগাযোগের ব্যাপারটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বলতে পারেন যে আমি তোমার মত মেনে নিতে পারছি না। তখন বিনম্রভাবে এটা বলতে হবে যে, আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। দরকার হলে তোমার সাহায্য নেব।
সদ্যপ্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক জানাচ্ছেন, দলের সংস্কৃতি বদলানো খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু তিনি অধিনায়ক হওয়ার পর এই সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করেছিলেন। বিরাট বলেছেন, ‘‘আমি জানতাম আমাদের মধ্যে স্কিলের অভাব নেই। শুধু চেয়েছিলাম প্রতিভার শেষটুকু বের করে আনতে। আমার কাছে সংস্কৃতি হল স্ট্র্যাটেজির থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরজন্য প্রত্যেকদিন খাটতে হয়। অধিনায়ক হিসেবে আমি সেই সংস্কৃতির খোঁজে ছিলাম, যাতে আমরা যেখানে খুশি জিততে পারি।”

Latest article