ওয়াংখেড়েতেই শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলাম, ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে শচীন

ঘরের মাঠে দুটো সেরা ঘটনা ঘটেছে শচীন তেন্ডুলকরের জীবনে। ২০১১-তে এই মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।

Must read

মুম্বই, ২০ জানুয়ারি : ঘরের মাঠে দুটো সেরা ঘটনা ঘটেছে শচীন তেন্ডুলকরের জীবনে। ২০১১-তে এই মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। আর এই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই কেরিয়ারের ২০০তম টেস্ট খেলে ক্রিকেট জীবনে দাঁড়ি টেনেছিলেন।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে শচীন স্বভাবতই আবেগে ভেসেছেন। তিনি বোর্ডকে অনুরোধ করে মায়ের জন্য কীভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শেষ টেস্ট মুম্বইয়ে নিয়ে এসেছিলেন, সেই ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরেন। শচীন বলেন, সিরিজের আগেই আমি বোর্ডকে একটা অনুরোধ করি। বলি এক বিশেষ কারণে আমি শেষ টেস্ট মুম্বইয়ে খেলতে চাই। আমি এত বছর খেলেছি। ৩০ বছর হবে। এর মধ্যে ২৪ বছর ভারতের হয়ে খেলেছি। কিন্তু আমার মা কখনও আমাকে মাঠে খেলতে দেখেননি। আমার অবসরের সময় মায়ের শরীর ভাল যাচ্ছিল না। তাই ওঁর পক্ষে মুম্বই ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে খেলা দেখা সম্ভব ছিল না। ২৪ বছরে আমি এত জায়গায় খেলেছি, শুধু শেষ টেস্টে চেয়েছিলাম মা যাতে আমার খেলা দেখতে পারেন। আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। ওরা সেই অনুরোধ রেখেছিল।

আরও পড়ুন-সঞ্জয়ের মতো ধর্ষকদের জেলে রেখে করদাতাদের টাকা অপচয়ের অর্থ নেই: ক্ষুব্ধ অভিষেক

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে যখন বিগ স্ক্রিনে তাঁর পরিবারের সবার মুখ ভেসে উঠেছিল, তখন তিনি কী সাংঘাতিক আবেগের শিকার হয়েছিলেন তিনি, সেটাও বলেন লিটল মাস্টার। তাঁর কথায়, আমি আবেগে ডুবে গিয়েছিলাম। শেষ ম্যাচ। তাই এমন হবে সেটা আগে থেকে জানতাম। ব্যাট করার সময় জোর করে আবেগকে সরিয়ে রেখেছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার ও দর্শকরা আমাকে যথেষ্ট সম্মান জানান। কিন্তু শেষ ওভারে যখন মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে আমার মা, স্ত্রী, পরিবারের সদস্যদের মুখ ভেসে উঠেছিল, তখন মনে হয়েছিল স্ক্রিনের অপারেটর নিশ্চয়ই ক্যারিবিয়ান পাসপোর্টধারী! আমাকে আবেগে ডুবিয়ে আউট করতে চেয়েছিলেন! শচীন এটা মজা করেই বলেন। তাঁর বক্তব্য, বাড়ির লোকেদের মুখ পর্দায় দেখে আমি সত্যিই আবেগে ডুবে গিয়েছিলাম। যে ভদ্রলোক বিগ স্ক্রিন অপারেট করছিলেন তিনি নিশ্চয়ই ক্যারিবিয়ানদের হয়ে এটা করেছিলেন যাতে আমি আবেগের শিকার হই।

আরও পড়ুন-‘সেবাশ্রয়’-এ প্রাণ বাঁচল ৯ বছরের আলতাফের! অভিষেককে ধন্যবাদ শিশুর বাবার

শচীন আরও বলেন, খেলার পর সতীর্থরা যখন আমাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিল, সেটা ছিল এক অসাধারণ মুহূর্ত। আবেগের সঙ্গে লড়তে লড়তে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। মাঠ প্রদক্ষিণ করার মুহূর্তটাও কখনও ভুলব না। এগুলো কিছুই আগে থেকে লেখা ছিল না। কিন্তু ভগবান এমনই চেয়েছিলেন। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এসব আমার সঙ্গে থাকবে। এরপর শচীন যোগ করেন, আমি যখন বিশ্বকাপ ট্রফি দেখতাম, তখন মনে হত এটা আমার হাতে থাকা উচিত। আমার জীবনে বিশ্বকাপ জয়ই হল সেরা মুহূর্ত। এর থেকে ভাল কিছু হয়নি।

Latest article