মুম্বই, ৩ এপ্রিল : ২০১১-র কাপ জয়ের বন্দনা চলছে দেশ জুড়ে। বিরাট থেকে যুবরাজ কিংবা শচীন, সবাই ফিরে গিয়েছেন ওয়াংখেড়েতে ২ এপ্রিলের সেই মায়াবী রাতে। কিন্তু উচ্ছ্বাসের এই আবহে একটু বেসুরো রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। যিনি এখনও বুঝে পান না, কেন সেবার বাদ পড়েছিলেন বিশ্বকাপ থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজের মাঝে রোহিত জানতে পারেন, তাঁকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়নি। মহিলা ক্রিকেটার জেমিমা রডরিগেজের সঙ্গে হিটম্যানের কথপোকথনে এগারো বছর আগের সেই পরিস্থিতি উঠে এসেছে। রোহিত তাঁকে বলেছেন, অনেক ভেবেও তিনি এটা বুঝতে পারেননি যে, কোথায় তাঁর গলদ ছিল। তাঁর (Rohit Sharma) কথায়, ‘‘খুব কঠিন ছিল সেই পরিস্থিতি। সত্যি বলতে কি, সবাই বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখে। সবাই চায় দলের সাফল্যে অবদান রাখতে। আমার এখনও মনে আছে, তখন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায়। একটা সিরিজ খেলছি। সেই সময় খবরটা পাই। তখন এমন কেউ ছিল না যার সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলি। ওইসময় আমি ঘরে বসে শুধু এটা ভাবতাম যে কোথায় ভুল হল। আমি কী করলে আরও ভাল করতে পারতাম।”
রোহিত অবশ্য এই হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। দ্রুত বুঝতে পারেন যে, সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। তাঁর সামনে অনেক ক্রিকেট পড়ে আছে। রোহিত বলেছেন, ‘‘আমি তখন ২৩-২৪। জানতাম যে আমার সামনে অনেক ক্রিকেট রয়েছে। যা হয়েছে, তা হয়েছে। এটা বদলানো যাবে না। সুতরাং এই হতাশা থেকে আমাকে বেরিয়ে আসতে হবে।” এরপরই বর্তমান ভারতীয় দলের তিন ফর্ম্যাটের অধিনায়ক যোগ করেন, ‘‘আপনি হতাশ হতেই পারেন। কিন্তু সেই হতাশার মধ্যে থেকে আমি পথ হারাইনি। বরং যা করা উচিত, সেটাই করেছি। চেষ্টা করেছি আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে ওঠার।” তবে রোহিত মেনে নিয়েছেন, খুব কঠিন সময় ছিল সেটা। কিন্তু তিনি জীবনদর্শনকে পাথেয় করেছিলেন। সেটা এই যে, কঠিন সময় আসবে। কিন্তু তা চিরস্থায়ী হবে না। কঠিন লোকজন অবশ্য থাকবে। ফলে নিজেকে আরও কঠিন করে তুলতে হবে। নিজের স্কিলকে আরও ঝালিয়ে নিতে হবে।